পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভিন সঙ্গী २8¢ ভালোবাদ জানাও নি কিন্তু তোমার স্তব্ধতার গভীর থেকে প্রতিক্ষণে যা তুমি দান করেছ, নাস্তিক তাকে কোনো সংজ্ঞা দিতে পারে নি— বলেছে, অলৌকিক । এরই আকর্ষণে কোনে-এক ভাবে হয়তে তোমার সঙ্গে সঙ্গে তোমার ভগবানেরই . কাছাকাছি ফিরেছি। ঠিক জানি নে। হয়তো সবই বানানে কথা । কিন্তু হৃদয়ের একটা গোপন জায়গা আছে আমাদের নিজেরই অগোচরে, সেখানে প্রবল ঘ লাগলে কথা আপনি বানিয়ে বানিয়ে ওঠে, হয়তে সে এমন কোনো সত্য যা এতদিনে নিজে জানতে পারি নি । Fr ولد বী, আমার মধুকরী, জগতে সবচেয়ে ভালোবেসেছি তোমাকে। সেই ভালোবাসার কোনো একটা অসীম সত্য-ভূমিকা আছে বলে যদি মনে করা যায়, আর তাকেই যদি বল তোমাদের ঈশ্বর, তা হলে তার দুয়ার আর তোমার দুয়ার এক হয়ে রইল এই নাস্তিকের জন্যে । আবার আমি ফিরব— তখন আমার মত, আমার বিশ্বাস, সমস্ত চোখ বুজে সমর্পণ করে দেব তোমার হাতে ; তুমি তাকে পৌছিয়ে দিয়ে তোমার তীর্থপথের শেষ ঠিকানায়, যাতে বুদ্ধির বাধা নিয়ে তোমার সঙ্গে এক মুহূর্তের বিচ্ছেদ আর কখনও না ঘটে। তোমার কাছ থেকে আজ দূরে এসে ভালোবাসার অভাবনীয়তা উজ্জল হয়ে উঠেছে আমার মনের মধ্যে, যুক্তিতর্কের কাটার বেড়। পার করিয়ে দিয়েছে আমাকে— আমি দেখতে পাচ্ছি তোমাকে লোকাতীত মহিমায়। এতদিন বুঝতে চেয়েছিলুম বুদ্ধি দিয়ে, এবার পেতে চাই আমার সমস্তকে দিয়ে। י"א , তোমার নাস্তিক ভক্ত অভীক আশ্বিন, ১৩৪৬ শেষ কথা জীবনের প্রবহমান ঘোলা রঙের হ-য-ব-র-লর মধ্যে হঠাৎ যেখানে গল্পট আপন রূপ ধ’রে সন্ত দেখা দেয়, তার অনেক পূর্ব থেকেই নায়ুকনায়িকার। আপন পরিচয়ের স্বত্র গেঁথে আনে। পিছন থেকে সেই প্রাক্গাল্পিক ইতিহাসের ধার। অনুসরণ করতেই হয়। তাই কিছু সময় নেব, আমি যে কে সেই কথাটাকে পরিষ্কার করবার জন্তে । কিন্তু নামধাম ভাড়াতে হবে। নইলে জানাশোনা মহলের জবাবদিহি সামলাতে পারব না। কী নাম নেব তাই ভাবছি, রোম্যান্টিক নামকরণেব দ্বারা গোড়া থেকেই