পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- * A | n n ጎ . r I R r i · ! - ! r * ! * o 醯 • *, ' , r i | i , , الله ل ' است * , * , W 1. o ' , • * , H * , * J. ... '" i * , ኧ I , . . ' o i # I , - T ५. o I J !. * n *

  • +. i i o

F i H A. i ነ J “আপনি খবরের কাগজ পড়েন তো। মানুষ মারা গেলেই তার গুণাবলী প্যারাগ্রাফে প্যারাগ্রাফে ছাপিয়ে পড়তে থাকে। সেই মৃত মানুষের বদান্ততার পরে ভরসা করলে তো দোষ নেই। টাকা যে মাস্থ্য জমিয়েছে অনেক পাপ জমিয়েছে সে তার সঙ্গে, আমরা কী করতে আছি যদি থলি ঝেড়ে স্বামীর পাপ হালকা করতে না পারি। যাক গে টাকা, আমার টাকায় দরকার নেই।” অধ্যাপক উত্তেজিত হয়ে বলে উঠলেন, “কী আর বলব তোমাকে। খনি থেকে সোনা ওঠে, সে খাটি সোনা, যদিও তাতে মিশেল থাকে অনেক-কিছু। তুমি সেই ছদ্মবেশী সোনার ঢেলা ৷ চিনেছি তোমাকে । এখন কী করতে হবে বলে ।” “ঐ ছেলেটিকে রাজি করিয়ে দিন ।” “চেষ্টা করব, কিন্তু কাজটা খুব সহজ নয়। আর কেউ হলে তোমার দান লাফিয়ে নিত ।” “কোথায় বাধছে বলুন।” “শিশুকাল থেকে একটি মেয়ে-গ্রহ ওর কুষ্টি দখল করে বসেছে। রাস্তা আগলে রয়েছে অটল অবুদ্ধি।” । “বলেন কী। পুরুষমানুষ—” “দেখে মিসেস মল্লিক, রাগ করবে কাকে নিয়ে । জান মেটিয়ার্কাল সমাজ কাকে বলে। যে সমাজে মেয়েরাই হচ্ছে পুরুষের সেরা । এক সময়ে সেই দ্রাবিড়ী সমাজের ঢেউ বাংলাদেশে খেলত ।” সোহিনী বললে, “সে স্থদিন তো গেছে। তলায় তলায় ঢেউ খেলে হয়তো, ঘুলিয়ে দেয় বুদ্ধিমুদ্ধি, কিন্তু হাল যে একল পুরুষের হাতে। কানে মন্ত্র দেন তারাই, আর জোরে দেন কানমলা। কান ছিড়ে যাবার জো হয় ।” “অহা হা, কথা কইতে জান তুমি । তোমার মতো মেয়েদের যুগ যদি আসে তা হলে মেটিয়ার্কাল সমাজে ধোবার বাড়ির ফর্দ রাখি মেয়েদের শাড়ির, আর আমাদের কলেজের প্রিন্সিপলকে পাঠিয়ে দিই টেকি কুটতে। মনোবিজ্ঞান বলে, বাংলাদেশে মেটিয়ার্কি বাইরে নেই, আছে নাড়িতে। মা মা শব্দে হাস্বাধ্বনি আর কোনো দেশের পুরুষমহলে শুনেছ কি। তোমাকে খবর দিচ্ছি, রেবতীর বুদ্ধির ডগার উপরে চড়ে বসে আছে একটি রীতিমতো মেয়ে ।” * * فيقا "কাউকে ভালোবাসে নাকি ৷” । t “আহ, সেটা হলে তো বুঝতুম, ওর শিরায় প্রাণ করছে ধুকধুক্ত। যুবতীর হাতে বুদ্ধি খোয়াবার বায়না নিয়েই তো এসেছে, এই তো সেই বয়েস। তা না হয়ে এই