পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રન્ટ ब्रशैख-द्रक्रमाबलौ । গলায় দড়ি দিয়ে মরব। কোন দেবতার দোহাই পাড়লে পাকানো হবে দড়িটা নাস্তিক আমি জানি নে, তাই দড়িটা বাজারে মিলল না। রেবতীকে খুব খানিকটা । গাল দিলুম, বললুম স্ট পিড, বললুম ডান্স, বললুম ইম্‌বেলীল। ব্যস, ঐখানেই খতম। রেকু এখন ভারতীয় ঘানিতে ফোটা ফোটা তেল বের করছেন।” i সোহিনী অস্থির হয়ে বলে উঠল, “দেয়ালে মাথা ঠুকে মরতে ইচ্ছে করছে। একটা মেয়ে রেবতীকে তলিয়ে দিয়েছে, আর-একটা মেয়ে তাকে টেনে তুলবে ডাঙায়, এই আমার পণ রইল।” + “পষ্ট কথা বলি ম্যাডাম । জানোয়ারগুলোকে শিঙে ধরে তলিয়ে দেবার হাত তোমার পাকা— লেজে ধরে তাদের উপরে তোলবার হাত তেমন দুরন্ত হয় নি। ত৷ এখন থেকে অভ্যাসটা শুরু হোক। একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, সায়ান্সে এত উৎসাহ তোমার এল কোথা থেকে ।” 锡 . “সকল রকম সায়ান্সেই সারা জীবন আমার স্বামীর মন ছিল মেতে । র্তার নেশা ছিল বর্ম চুরুট আর ল্যাৰরেটরি। আমাকে চুরুট ধরিয়ে প্রায় বর্মিজ মেয়ে বানিয়ে তুলেছিলেন। ছেড়ে দিলুম, দেখলুম পুরুষদের চোখে খটকা লাগে। র্তার আর-এক নেশা আমার উপর দিয়ে জমিয়েছিলেন। পুরুষরা মেয়েদের মজায় বোকা বানিয়ে, উনি আমাকে মজিয়েছিলেন বিষ্ঠে দিয়ে দিনরাত। দেখুন চৌধুরীমশায়, স্বামীর দুর্বলতা স্ত্রীর কাছে ঢাকা থাকে না, কিন্তু আমি ওঁর মধ্যে কোনোখানে খাদ দেখতে পাই নি। কাছে থেকে যখন দেখতুম, দেখেছি উনি বড়ো ; আজ দুরে থেকে দেখছি, দেখি উনি আরও বড়ো।” চৌধুরী জিগ গেস করলেন, “কোনখানে সব চেয়ে তাকে বড়ো ঠেকছে।” । “বলব ? উনি বিদ্বান বলে নয়। বিদ্যার পরে ওঁর নিষ্কাম ভক্তি ছিল ব’লে । উনি একটা পুজোর আলো পুজোর হাওয়ার মধ্যে ছিলেন। আমরা মেয়ের দেখবার-ছোবার মতে জিনিস না পেলে পুজো করবার পথ পাই নে। র্তার এই ল্যাবরেটরি আমার পুজোর দেবতা হয়েছে। ইচ্ছে করে এখানে মাঝে মাঝে ধুপধুনো জালিয়ে শাখঘণ্ট। বাজাই । ভয় করি আমার স্বামীর ঘৃণাকে। র্তার দৈনিক যখন পুজো ছিল, এই-সব যন্ত্রতন্ত্র ঘিরে জমত কলেজের ছাত্রের, শিক্ষা নিত তার কাছ থেকে, আর আমিও বসে যে তুম।” 噪 “ছেলেগুলো সায়ান্সে মন দিতে পারত কি ৷” ... . . . “ষার পারত তাদেরই বাছাই হয়ে যেত। এমন-সব ছেলে দেখেছি যারা সত্যকার বৈরাগী। আবার দেখেছি কেউ কেউ নোট নেবার ছলে একেবারে পাশের ঠিকানায়