পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, Ат ब्रवैौटज़-ब्रक्रमांवलौ ولهها এদিকে সহযোগীদের ধিক্কার শিরোধার্য করে রেবতী জাগানী ক্লাবের অধ্যক্ষতার ংবাদ ঘোষণা করতে দিলে সংবাদপত্রে । নীল। যখন বলত, ভয় লাগছে বুঝি’, ও বলত ‘আমি কেয়ার করি নে’ । ওর পৌরুষ সম্বন্ধে সংশয়মাত্র না থাকে এই জেদ ওকে পেয়ে বসল। বললে, ‘এডিংটনের সঙ্গে চিঠিপত্র আমার চলে, একদিন এই ক্লাবে আমি তাকে নিমন্ত্রিত করে আনব’, ক্লাবের মেম্বররা বললে ‘ধন্ত । w রেবতীর আসল কাজ গেছে বন্ধ হয়ে। ছিন্ন হয়ে গেছে ওর সমস্ত চিস্তাস্বত্র । মন কেবলই অপেক্ষা করছে নীলা কখন আসবে, হঠাৎ পিছন থেকে ধরবে ওর চোখ টিপে । চৌকির হাতার উপর বসে বঁ হাতে ধরবে ওর গল। জড়িয়ে । নিজেকে এই বলে আশ্বাস দিচ্ছে, ওর কাজটা যে বাধা পেয়েছে সেটা ক্ষণিক, একটু স্বস্থির হলেই ভাঙার মুখে আবার জোড় লাগবে। স্বস্থির হবার লক্ষণ আশু দেখা যাচ্ছে না। ওর কাজের ক্ষতিতে পৃথিবীর কোনে৷ ক্ষতি হচ্ছে নীলার মনের এক কোণেও সে শঙ্ক৷ নেই, সমস্তটাকে সে প্রহসন মনে করে। দিনের পর দিন জাল কেবলই জড়িয়ে যাচ্ছে। জাগানী সভা ওকে ছেকে ধরেছে, ওকে ঘোরতর পুরুষমানুষ বানিয়ে তুলছে। এখনও অকথ্য মুখ থেকে বেরয় না, কিন্তু অশ্রাব্য শুনলে জোর করে হাসতে থাকে। ডক্টর ভট্টাচার্য ওদের খুব একটা মজার জিনিস হয়ে উঠেছে। মাঝে মাঝে রেবতীকে ঈর্ষায় কামড়িয়ে ধরে। ব্যাঙ্কের ডাইরেক্টরের মুখের চুরট থেকে নীল চুরট ধরায়। এর নকল করা রেবতীর অসাধ্য। চুরটের ধোয়। গলায় গেলে ওর মাথা ঘুরে পড়ে, কিন্তু এই দৃশুট। ওর শরীরমনকে আরও অস্বস্থ করে তোলে। তা ছাড়া নানারকমের ঠেলাঠেলি টানাটানি যখন চলতে থাকে, ও আপত্তি ম। জানিয়ে থাকতে পারে না । নীল বলে, “এই দেহটার পরে আমাদের তো কোনে। মোহ নেই, আমাদের কাছে এর দাম কিসের– আসল দামী জিনিস ভালোবাস, সেটা কি বিলিয়ে ছড়িয়ে দিতে পারি। ব’লে চেপে ধরে রেবতীর হাত। রেবতী তখন অন্যদের অভাজন ব’লেই মনে করে, ভাবে ওরা ছোবড় নিয়েই খুশী, শাসটা পেল না । , f ল্যাবরেটরির স্বারের বাইরে দিনরাত পাহার। চলছে, ভিতরে ভাঙা কাজ পড়ে রয়েছে, কারও দেখা নেই। վ,