পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२७ ब्रदौञ्ज-व्रछनांबलौ

  • वट्लन न् िदृङ्न ।” “ভয় করেছিল।” । “আমাকে ভয় কিসের ?” “আপনি যে মস্ত লোক, দাদুর কাছে শুনেছি। তিনি আপনার লেখা প্রবন্ধ বিলিতি কাগজে পড়েছেন । তিনি যা পড়েন আমাকে শোনাতে চেষ্টা করেন ।”

“এটাও কি করেছিলেন।” I “নিষ্ঠুর তিনি, করেছিলেন। লাটিন শব্দের ভিড় দেখে জোড়হত করে তাকে বলেছিলুম, দাদু এটা থাকৃ। বরঞ্চ তোমার সেই কোয়ান্টম থিয়োরির বইখানা খোলে৷ ” “সে থিয়োরিট বুঝি আপনার জানা আছে ?” “কিছুমাত্র না। কিন্তু দাদুর দৃঢ় বিশ্বাস সবাই সবকিছু বুঝতে পারে। আর তার অদ্ভূত এই একটা ধারণ যে, মেয়েদের বুদ্ধি পুরুষদের বুদ্ধির চেয়ে বেশি তীক্ষ। তাই ভয়ে ভয়ে আছি অৰিলম্বে আমাকে টাইম-স্পেস এর জোড়মিলনের ব্যাখ্যা শুনতে হবে। দিদিম। যখন বেঁচে ছিলেন, দাদু বড়ো বড়ে কথা পাড়লেই তিনি মুখ বন্ধ করে দিতেন ; এটাই যে মেয়েদের বুদ্ধির প্রমাণ, দাদু কিন্তু সেটা বোঝেন নি।” অচিরার দুই চোখ স্নেহে আর কৌতুকে ছলছল জলজল করে উঠল। দিনের আলো নিঃশেষ হয়ে এল। সন্ধ্যার প্রথম তার জলে উঠেছে একটা একলা তালগাছের মাথার উপরে। সাওতাল মেয়ের ঘরে চলেছে জালানি কাঠ সংগ্ৰহ করে, দূর থেকে শোনা যাচ্ছে তাদের গান। ' نام এমন সময় বাইরে থেকে ডাক এল, “কোথায় তুমি। অন্ধকার হয়ে এল যে ! আজকাল সময় ভালো নয় ।” অচিরা উত্তর দিল, “সে তো দেখতেই পাচ্ছি। তাই জন্যে একজন ভলণ্টিয়র নিযুক্ত করেছি।” আমি অধ্যাপকের পায়ের ধুলো নিয়ে প্রণাম করলুম। তিনি শশব্যস্ত হয়ে উঠলেন। আমি পরিচয় দিলুম, “আমার নাম শ্ৰীনবীনমাধব সেনগুপ্ত।” বৃদ্ধের মুখ উজ্জল হয়ে উঠল। বললেন, “বলেন কি ! আপনিই ডাক্তার সেনগুপ্ত ? কিন্তু আপনাকে যে বড়ে ছেলেমানুষ দেখাচ্ছে।” আমি বললুম, “ছেলেমানুষ না তে কী। আমার বয়স এই ছত্রিশের বেশি নয়— সাইব্ৰিশে পড়ৰ ।” আবার অচিরার সেই কলমধুর কষ্ঠের হাসি। আমার মনে যেন দুন লয়ের ঝংকারে