পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8०९ রবীন্দ্র-রচনাবলী বেষ্টনী। শনিগ্রহের চারি দিকে যে বেষ্টনীর কথা বলা হল তার স্বাক্ট সম্বন্ধে পণ্ডিতেরা আন্দাজ করেন যে, অনেকদিন আগে শনির একটি উপগ্রহ ঘুরতে ঘুরতে এর বিপদগণ্ডির ভিতরে গিয়ে পড়েছিল, তার ফলে উপগ্রহটা ভেঙে টুকরো হয়ে আজও এই গ্রহের চার দিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। । + r পৃথিবীর বিপদগণ্ডির অনেকটা বাইরে আছে বলে চাদের যা পরিবর্তন হয়েছে তা খুব বেশি না। পৃথিবীর টানের জোরে আস্তে আস্তে চাদ তার কাছে এগিয়ে আসছে, তার পরে যখন ঐ বেড়ার মধ্যে অপঘাতের এলেকায় প্রবেশ করবে তখন যাবে টুকরো টুকরো হয়ে, আর সেই টুকরোগুলো পৃথিবীর চার দিক ঘিরে শনিগ্রহের নকল করতে থাকবে, তখন হবে তার শনির দশ।। কেন্থি জের অধ্যাপক জেফ রের মত এর উলটে। তিনি বলেন চাদে পৃথিবীতে দূরত্ব বেড়েই চলেছে। অবশেষে চান্দ্রমাসে সৌরমাসে সমান হয়ে যাবে, তখন কাছের দিকে টানবার পালা শুরু হবে। o বৃহস্পতির চেয়ে শনি স্বৰ্ষ থেকে আরও বেশি দূরে—কাজেই ঠাণ্ডাও আরও বেশি। এর বাইরের দিকের বায়ুমণ্ডল অনেকটা বৃহস্পতির মতে, কেবল অ্যামোনিয়া তত বেশি জানা যায় না, আলেয়৷ গ্যাসের পরিমাণ শনিতে বৃহস্পতির চেয়ে বেশি। শনি যদিও পৃথিবীর চেয়ে আয়তনে অনেক বড়ে তবু তার ওজন সে-পরিমাণে বেশি নয়। বৃহস্পতির মতে এর বায়ুমণ্ডল গভীর হবার কথা, কেনন। এর টান এড়িয়ে বাতাসের পালাবার পথ নেই। এর বাতাসের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি বলেই এর গড়পড়ত। ওজন আয়তনের তুলনায় এত কম। এর ভিতরের কঠিন অংশের ব্যার্গ ২৪০০০ মাইল, তার উপরে প্রায় ৬০ ০০ মাইল বরফ জমেছে, আর তার উপরে আছে ১৬০০০ মাইল হাওয়া । শনিগ্রহের পরের মণ্ডলীতে আছে যুরেনস নামক এক নতুন-খবর-পাওয়া গ্রহ। এ গ্রহ সম্বন্ধে বিশেষ বিবরণ কিছু জানা সম্ভব হয় নি। এর আয়তন পৃথিবীর ৬৪ গুণ বেশি। স্বৰ্ষ থেকে ১৭৮ কোটি ২৮ লক্ষ মাইল দূরে থেকে সেকেণ্ডে চার মাইল বেগে ৮৪ বছরে একবার তাকে প্রদক্ষিণ করে। এত বড়ে এর আয়তন কিন্তু খুব দূরে আছে বলে দুরবীন ছাড়া একে দেখা যায় না। যে জিনিসে এ গ্রহ তৈরি তা জলের চেয়ে একটু ঘন, তাই পৃথিবী থেকে বহু গুণ বড়ে হলেও, এর ওজন পৃথিবীর ১৫ গুণ आोए । o I ১০ ঘণ্টা ৪৩ মিনিটে এ গ্রহ একবার ঘুরপাক খাচ্ছে। চারটি উপগ্রহ নিজ নিজ পথে ক্রমাগত একে প্রদক্ষিণ করছে। & d