পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় । 8२० छूटौग्न पृथ o ~ এই দৃশ্বে মন্ত্রের কাজ চলেছে। মায়াদর্পণে আনন্দের অভিভব-দৃশ্ব দেখে মাঝে মাঝে প্রকৃতি অনুতপ্ত হচ্ছে, মাকে নিষেধ করছে, আবার তাকে উৎসাহিত করছে। অবশেষে মহাকালনাগিনীমন্ত্র-প্রভাবে টান ধরল। পরাভূত আনন্দের অসম্মানে দুঃখার্ত হয়ে আনন্দকে প্রকৃতি প্রণাম করে বললে, “আমাকে ক্ষম করে, তোমাকে মাটিতে টেনেছি, তুমি আমাকে ধূলি হতে তুলে নাও তোমার পুণ্যলোকে।” চণ্ডালিকা-কে নৃত্যনাট্যে রূপদান করার প্রেরণা প্রসঙ্গে ২১৷১৩৮ তারিখে শান্তিনিকেতন হইতে শ্ৰীঅমিয় চক্রবর্তীকে লিখিত রবীন্দ্রনাথের একটি পত্রের নিম্নেউদ্ধৃত অংশ প্রণিধানযোগ্য : আজ আমার মন যে ঋতুকে আশ্রয় করে আছে, সে দক্ষিণ হাওয়ার ঋতু, অন্তরের দিকে তার প্রবাহ, কিছুকালের জন্যে ফুল ফুটিয়ে ফুল ঝরিয়ে দেবে দৌড়। সেই মাতালট বড়ে হাটের জন্যে ফসল-ফলানো কেয়ার করে না। কিছুদিন থেকে সমস্ত চণ্ডালিকাকে গনিময় করে তুলতে ব্যস্ত আছি। খ্যাতির দিক থেকে এর দাম নেই বললেই হয়। প্রথমত বিদেশী হাটে চালান করবার মাল এ নয়, দ্বিতীয়ত দেশের মাতব্বর লোকেরা এর বিশেষ খাতির করবেন ব’লে আশাই করি নে, যদি করেন তবে প্রভূত মুরুবিয়ান মিশিয়ে করবেন। অথচ দিনরাত্রি এত পরিপূর্ণ হয়ে আছে আমার মন যে, সমস্ত সামাজিক কর্তব্য তুচ্ছ বলে মনে হয়। অর্থাৎ আছি আমি অজন্তা-গুহায়— তার বাইরের সংসারটা সম্পূর্ণ মুলতবি বিভাগে রয়ে গেছে। —প্রবাসী, ১৩৪৪ ফাঙ্কন, পৃ ৭১৪ শ্ৰীমতী প্রতিমা দেবী কতৃক লিখিত ও রবীন্দ্রনাথ কতৃক অমুমোদিত “চণ্ডালিক” প্রবন্ধটি নৃত্যনাট্য চণ্ডালিকা-র পরিপূর্ণ রসগ্রহণের পক্ষে অপরিহার্য । ১৩৪৫ সালের আশ্বিনের প্রবাসী হইতে উক্ত প্রবন্ধের কিয়দংশ নিম্নে মুদ্রিত হইল : চণ্ডালিকার ভূমিকা হল খাটি সাহিত্য , একটি মানুষের মানসিক ক্ৰমৰিকাশের পটভূমির উপর তার SDDB BBDDD DD D DDD DDBB DD BBDD DD BB DDD DBBBBD DDBB S দেহের যে আকর্ষণী মন্ত্র যা শিবের তপস্তাকেও টলাতে পেরেছিল প্রকৃতি-পুরুষের অন্তরের সেই চিরন্তন দ্বন্দ্ব পৌছল চণ্ডালিকার প্রাণে, তারই অtঘাতে দোল-খাওয়া মন নৃত্যসংগীতের তালে আপনাকে ৰিচ্ছুরিত করে দিল অবসাদ বিষাদ করুণার অতিশয্যে ।••• 電 মূল আখ্যানের সঙ্গে এই মৃত্যনাট্যের অtখ্যান-অংশ কিছু তফাত হয়ে গেছে। নাটকীয় সংঘাঙকে ফুটিয়ে তোলবার জন্তে এবং রঙ্গমঞ্চের আঙ্গিককে উৎকর্ষ দেবার নিমিত্ত কবি এরাপ করতে বাধ্য হয়েছেন, যদিও সাহিত্যের দিক থেকে মনস্তাত্ত্বিক পরিচালনায় কোনোরূপ পরিবতন হয় নি।