পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় 804 শেষকথা গল্পটির একটি ভিন্নতর পাঠ দেশ পত্রিকার ‘বিদ্যাসাগর স্মৃতি-সংখ্যায় (৩০ অগ্রহায়ণ ১৩৪৬, পৃ ১৬৫-৭৬) “ছোটে। গল্প" নামে বাহির হইয়াছিল। পরিশিষ্টে উহ। আদ্যোপান্ত মুদ্রিত হইল। ল্যাবরেটরি গল্পটির সুত্রে ঐ প্রতিম দেবীর নির্বাণ গ্রন্থ হইতে প্রাসঙ্গিক কয়েকটি ছত্র উদ্ধারযোগ্য : to {C} (; ) Qg Q о অসুস্থতার মধ্যে পুজোর জাননীবাজার বেয়ল, তাতে ল্যাবরেটরি গল্পটি প্রকাশিত হয়েছিল, DDDBB BB BDD DD S DDDDDS S BBBS BBD DD DDDDD DDDDBB BBD DD [ রথীন্দ্রনাথ ] ত দিয়ে গিয়ে তাকে দেখিয়েছিলেন। কী আগ্রহ তার গল্পটি দেখে, ডাক্তারদের বারণ সত্ত্বেও তিনি কাগজখানি হাতে নিয়ে আগাগোড়া চোখ বুলিয়ে গেলেন। সোহিনীকে নিয়ে যখন কেউ-কেউ আলোচনা করতেন, তাদের প্রায়ই বলতেন, “সোহিনীকে সকলে হয়তো বুঝতে পারবে মা, সে একেবারে এখনকার যুগের সাদায়-কালোয় মিশনে খাটি রিয়ালিজম, অথচ তলায়-তলায় অন্তঃসলিলার মতে। আইডিয়ালিজ মই হল সোহিনীর প্রকৃত স্বরূপ।” বন্ধুবান্ধব এসে গল্পটির প্রশংসা করলে অমুখের মধ্যেও র্তার মুখ কত উজ্জ্বল হয়ে উঠত। –নির্বাণ, পৃ ৩৪ বিশ্বপরিচয় ‘বিশ্বপরিচয় ১৩৪৪ সালের আশ্বিন মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়। বইখানি উক্ত বৎসর আলমোড়ায় গ্রীষ্মাবকাশ ষাপনের সময় রবীন্দ্রনাথ রচনা করেন । সর্বসাধারণের উপযোগী করিয়া সহজ ভাষায় বিজ্ঞানগ্রন্থ রচনার এই প্রয়াস প্রসঙ্গে সুরেন্দ্রনাথ মৈত্রকে রবীন্দ্রনাথ নিম্নোদ্ধৃত পত্ৰখানি লিখিয়াছিলেন : বিশ্বপরিচয় বইখান তোমাকে পাঠিয়ে দিতে লিখে দিলুম, তারই সঙ্গে ফাউ একখানা ছড়ার ছবি পাবে। ডাঙায় নাচতে পারি বলেই জলে সাতার কাটার অধিকার যে পাক হবে এমন কোনো কথা নেই। বিজ্ঞান-সরোবরের ঘাটের কাছটাতে খুব হাত-পা ছুড়েছি, প্রাইজ পাব এমন আশা করি নে। বিজ্ঞানের আবহাওয়ার সম্বন্ধে আমাদের দেশের লোকের মনটা চন্দ্রলোকের মতোই। যতটা সাধ্য, হাওয়া খেলিয়ে দেবার ইচ্ছা অনেক দিন থেকে মনে ছিল, কিন্তু হাওয়াটা ওজনে ভারী হয়েছে এমন নালিশ কানে উঠেছে —মাল থাকবে অথচ ভার থাকবে ন। এমন জাদুবিদ্যা ওস্তাদের পক্ষেই সম্ভব। বিজ্ঞানের একটা রসালে উপক্রমণিকা লেখা তোমারই দ্বারা সাধ্য, কেননা তোমার ভাণ্ডারে বাক্যরস এবং অর্থমূল্য দুইই