পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র রচনাবলী চিরপুরাতন বেদিতলে । মিলিয়৷ খ্যামলে নীলিমায় ধরণীর উত্তরীয় বুনে চলে ছায়াতে আলোতে। . আকাশের হৃৎস্পন্দন পল্লবে পল্লবে দেয় দোল । প্রভাতের কণ্ঠ হতে মণিহার করে ঝিলিমিলি বন হতে বনে । পাখিদের অকারণ গান সাধুবাদ দিতে থাকে জীবনলক্ষ্মীরে। সবকিছু সাথে মিশে মানুষের প্রীতির পরশ অমৃতের অর্থ দেয় তারে, মধুময় করে দেয় ধরণীর ধূলি, সর্বত্র বিছায়ে দেয় চিরমানবের সিংহাসন। উদয়ন ১২ জানুয়ারি, ১৯৪১ ! দুপুর ○ নির্জন রোগীর ঘর। খোলা দ্বার দিয়ে বাক ছায় পড়েছে শয্যায়। শীতের মধ্যাহ্নতাপে তন্দ্রাতুর বেল চলেছে মন্থরগতি শৈবালে দুর্বলস্রোত নদীর মতন। মাঝে মাঝে জাগে যেন দূর অতীতের দীর্ঘশ্বাস শস্যহীন মাঠে । মনে পড়ে কতদিন ভাঙা পাড়িতলে পদ্ম