পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (প্রথম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানসী। সুখের কাননতলে বসি হাঁদায়ের মাঝারে বেদনানিরখি কোলের কাছে মৃৎপিণ্ড পড়িয়া আছে, দেবতারে ভেঙে ভেঙে করেছি। খেলনা । এরই মাঝে ক্লান্তি কেন আসে, উঠিবারে করি প্রাণপণ ! হাসিতে আসে না হাসি, বাজাতে বাজে না বঁাশি, শরমে তুলিতে নারি নয়নে নয়ন । কেন তুমি মূর্তি হয়ে এলে, রহিলে না ধ্যান-ধারণার ! সেই মায়া-উপবন কোথা হল আদর্শন, কেন হয় বঁপ দিতে শুকালো পাথার ! স্বপ্নরাজ্য ছিল ও হৃদয়— প্ৰবেশিয়া দেখিানু, সেখানে এই দিবা এই নিশা এই ক্ষুধা এই তৃষা, প্ৰাণপাখি কঁদে এই বাসনার টানে । আমি চাই তোমারে যেমন তুমি চাও তেমনি আমারে— কৃতাৰ্থ হইব আশে গেলেম তোমার পাশে, তুমি এসে বসে আছ আমার দুয়ারে । সৌন্দর্যসম্পদ-মাঝে বসি কে জানিত কঁদিছে বাসনা ! ভিক্ষা ভিক্ষা সব ঠাই- তবে আর কোথা যাই ভিখারিনী হল যদি কমল-আসনা ! তাই আর পারি না। সঁপিতে সমস্ত এ বাহির অন্তর । এ জগতে তোমা ছাড়া ছিল না তোমার বাড়া, তোমারে ছেড়েও আজ আছে চরাচর । কখনো বা চাদের আলোতে কখনো বসন্তসমীরণে সেই ত্ৰিভুবনজয়ী অপােররহস্যময়ী আনন্দমুরতিখানি জেগে ওঠে। মনে । ܠ ܘ ܓ