পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՖՀԵ রবীন্দ্র-রচনাবলী ভিক্ষু আসে ছিন্ন কস্থা প’রে, আর রাজ-অমাত্যের দল স্বর্ণলাঞ্ছনখচিত উজ্জল বেশে । জ্ঞানগরিমা ও বয়সের ভারে মন্থর অধ্যাপককে ঠেলে দিয়ে চলে চটুলগতি বিদ্যার্থী যুবক । মেয়েরা চলেছে কলহাস্তে, কত মাতা, কুমারী, কত বধু; থালায় তাদের শ্বেতচন্দন, ঝারিতে গন্ধসলিল । বেশ্বাও চলেছে সেই সঙ্গে ; তীক্ষ তাদের কণ্ঠস্বর, অতিপ্রকট তাদের প্রসাধন । চলেছে পঙ্গু, খঞ্জ, অন্ধ, আতুর, আর সাধুবেশী ধর্মব্যবসায়ী— দেবতাকে হাটে হাটে বিক্রয় করা যাদের জীবিকা । সার্থকতা ! স্পষ্ট ক’রে কিছু বলে না— কেবল নিজের লোভকে মহৎ নাম ও বৃহৎ মূল্য দিয়ে ওই শব্দটার ব্যাখ্যা করে, আর শাস্তিশঙ্কাহীন চৌর্যবৃত্তির অনন্ত সুযোগ ও আপন মলিন ক্লিন্ন দেহমাংসের অক্লান্ত লোলুপতা দিয়ে কল্পস্বৰ্গ রচনা করে। Q দয়াহীন দুর্গম পথ উপলখণ্ডে আকীর্ণ। ভক্ত চলেছে, তার পশ্চাতে বলিষ্ঠ এবং শীর্ণ, তরুণ এবং জরাজর্জর, পৃথিবী শাসন করে যার আর যারা অর্ধাশনের মূল্যে মাটি চাষ করে। কেউ বা ক্লান্ত বিক্ষতচরণ, কারো মনে ক্রোধ, কারো মনে সন্দেহ তার প্রতি পদক্ষেপ গণনা করে আর শুধায়, কত পথ বাকি । তার উত্তরে ভক্ত শুধু গান গায়। শুনে তাদের ভ্র কুটিল হয়, কিন্তু ফিরতে পারে না, চলমান জনপিণ্ডের বেগ এবং অনতিব্যক্ত আশার তাড়না তাদের ঠেলে নিয়ে যায় । ঘুম তাদের কমে এল, বিশ্রাম তারা সংক্ষিপ্ত করলে, পরস্পরকে ছাড়িয়ে চলবার প্রতিযোগিতায় তার ব্যগ্র,