পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কল্পনা 〉○> এসে চতুর মধুর হাসি তড়িৎসম সহসা চকিত করো বধূরে হরষে— নবীন করে মানবঘর, ধরণী করে বিবশ দেবতাপদ-সরস-পরশে । ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৪ মদনভস্মের পর পঞ্চশরে দগ্ধ করে করেছ একি সন্ন্যাসী, বিশ্বময় দিয়েছ তারে ছড়ায়ে ! ব্যাকুলতর বেদন তার বাতাসে উঠে নিশ্বাসি, অশ্রু তার আকাশে পড়ে গড়ায়ে ।. ভরিয়া উঠে নিখিল ভব রতি-বিলাপ-সংগীতে, সকল দিক কাদিয়া উঠে অণপনি । ফাগুন মাসে নিমেষ-মাঝে না জানি কার ইঙ্গিতে শিহরি উঠি মুরছি পড়ে অবনী । আজিকে তাই বুঝিতে নারি কিসের বাজে যন্ত্রণা হৃদয়বীণাযন্ত্রে মহা পুলকে ! তরুণী বসি ভাবিয়া মরে কী দেয় তারে মন্ত্রণা মিলিয়া সবে দু্যলোকে আর ভূলোকে । কী কথা উঠে মর্মরিয়া বকুলতরুপল্লবে, ভ্রমর উঠে গুঞ্জরিয়া কী ভাষা ! উর্ধ্বমুখে স্থৰ্যমুখী স্মরিছে কোন বল্লভে, । নিঝরিণী বহিছে কোন পিপাস ! বসন কার দেখিতে পাই জ্যোংস্কালোকে লুষ্ঠিত নয়ন কণর নীরব নীল গগনে ! বদন কার দেখিতে পাই কিরণে অবগুষ্ঠিত, চরণ করে কোমল তৃণশয়নে ।