পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যঙ্গকৌতুক رن ۹ رای খাম। (আত্মগত ) ছেলেটি সোনার টুকরো। যেমন কীর্তিকের মতো দেখতে তেমনি মধু-ঢালা কথা । আমাকে প্রথম থেকেই মাতাজি বলে ডাকছে। পশ্চিম থেকে এসেছি কিনা, তাই বোধ হয় মা না বলে মাতাজি বলছে । ( প্রকাশ্বে ) কিছুই খেলে না যে বাবা ! আশু । আমার যা সাধ্য, তার চেয়ে বরঞ্চ বেশিই খেয়েছি মাতাজি । খাম । তা হলে একটু বোসে, আমি ডেকে নিয়ে আসি । [ প্রস্থান আশু। রাধে বলেছিল বটে, মাতাজি কুমারী কন্যার দ্বারা মন্ত্রের ফল দেখিয়ে থাকেন। বশীকরণ-বিষ্ঠায় আমার একটু বিশ্বাস জন্মাচ্ছে। এরই মধ্যে মাতাজির মাতৃস্নেহে আমার চিত্ত কেমন যেন আর্দ্র হয়ে এসেছে। আমার মা নেই, মনে হচ্ছে যেন মাকে পেলেম। এ কোন মন্ত্রবলে কে জানে! মাতাজি স্নিগ্ধ দৃষ্টি-দ্বারা আমার সমস্ত শরীর যেন অভিষিক্ত করে দিয়েছেন। প্রথম দেখাতেই উনি যে আমাকে তার পুত্রস্থানীয় করে নিয়েছেন, এ যেন পূর্বজন্মের একটা সম্বন্ধের স্মৃতি । নিরুপমাকে লইয়া শুামার প্রবেশ আশু । (স্বগত) আহ, কী সুন্দর । মাতাজির বশীকরণ-বিদ্যা যেন মূর্তিমতী । এর মুখে কোনো মন্ত্রই বিফল হতে পারে না । খাম । যাও, লজ্জা কোরো না মা ! উনি যা জিজ্ঞাসা করেন উত্তর দিয়ে। আশু । লজ্জা করবেন না । মাতাজি আমার প্রতি যেরকম অনুগ্রহ প্রকাশ করেছেন, আপনিও আমাকে আপনার লোকের মতোই দেখবেন । ( আত্মগত ) মেয়েটি কী লাজুক ! আমার কথা শুনে আরও যেন লাল হয়ে উঠল। শু্যামা। বাবা, তোমার ইচ্ছামত ওকে জিজ্ঞাসাপত্র করে । আশু । আপনার কোন কোন বিদ্যায় অধিকার আছে, জানতে উংস্থক হয়ে আছি । শু্যাম । বয়স অল্প, বিদ্যা কতই বা বেশি হবে— তবে-— আশু যত অল্পই হোক মাতাজি, আমাদের মতো লোকের পক্ষে যথেষ্ট হবে। শু্যাম । ( আত্মগত ) বিদ্যার কোনো পরিচয় না পেয়েই যখন এত সস্তুষ্ট তথন মেয়েকে পছন্দ করেছে বলেই বোধ হচ্ছে । বাচা গেল, আমার বড়ো ভাবনা ছিল । ( প্রকাশ্বে ) নিরু, একটি গান শুনিয়ে দাও তো মা ! আশু। গান ! এ আমার আশার অতীত। আপনি বোধ হয় পূর্বে থেকেই জানেন, গানের চেয়ে আমি কিছুই ভালোবাসি নে। (স্বগত) অন্নদার মতো

  • {}२ (t