পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'రీమ్షి - রবীন্দ্র-রচনাবলী | ওই যে ! আমার ছেলেটা এইখানে ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি কোনখানে টাকা পুতে রাখি ও নিশ্চয়ই সেই খোজে ফেরে। ওদেরই ভয়েই তো আমাকে এক স্বরঙ্গ হতে আর-এক স্বরঙ্গে টাকা বদল করে বেড়াতে হয় – ধনপতি, এখানে কেন রে ? তোর মতলবট কী বল দেখি ! ধনপতি । ছেলেরা আজ সকলেই বেতসিনীর ধারে আমোদ করতে গেছে— আমাকে ছুটি দিলে আমিও যাই । i. লক্ষেশ্বর। বেতসিনীর ধারে! ওই রে, খবর পেয়েছে বুঝি ! বেতসিনীর ধারেই তো আমি সেই গজমোতির কৌটাে পুতে রেখেছি। ( ধনপতির প্রতি ) না, ন, খবরদার বলছি, সে-সব না। চল শীঘ্ৰ চল, নামত মুখস্থ করতে হবে। _ ধনপতি । ( নিশ্বাস ফেলিয়া) আজ এমন সুন্দর দিনটা ! so লক্ষেশ্বর। দিন আবার সুন্দর কী রে ; এইরকম বুদ্ধি মাথায় ঢুকলেই ছোড়াটা মরবে আর-কি ! যা বলছি ঘরে যা । ~ [ ধনপতির প্রস্থান ভারী বিশ্ৰী দিন । আশ্বিনের এই রোদুর দেখলে আমার স্বদ্ধ মাথা খারাপ করে দেয়, কিছুতে কাজে মন দিতে পারি নে। মনে করছি মলয়দ্বীপে গিয়ে কিছু চন্দন জোগাড় করবার জন্তে বেরিয়ে পড়লে হয়। যাই হোক, সে পরে হবে, আপাতত বেতসিনীর ধারটায় একবার ঘুরে আসতে হচ্ছে । ছোড়াগুলো খবর পায় নি তো! ওদের যে ইদুরের স্বভাব ! সব জিনিস খুড়ে বের করে ফেলে— কোনো জিনিসের মূল্য বোঝে না, কেবল কেটেকুটে ছারখার করতেই ভালোবাসে ! चिर्डौन्न शृश्च বেতসিনীর তীর । বন ঠাকুরদাদা ও বালকগণ গান বাউলের সুর আজ ধানের খেতে রৌদ্রছায়ায় লুকোচুরি খেলা । নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা ! ।