পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• 瞳 সাৰ্ব্বভৌম ধৰ্ম্ম । [ १भं त्र: শিষ্য। দেবতার ধৰ্ম্ম, মানুষের ধৰ্ম্ম, কীটপতঙ্গের ধৰ্ম্ম, উদ্ভিদের ধৰ্ম্ম, জড়পিণ্ডের ধৰ্ম্ম—সকলেরই এক ধৰ্ম্ম, ইহা অতি ভয়ঙ্করী কথা নহে কি ? দেবতাদের বিষয় প্রত্যক্ষ অবগত নহি,--মামুষের কথাই ধরিয়া লউন,—মানুষের ধৰ্ম্ম যাহা, ইতর জীবের ধৰ্ম্মও কি তাহা ? ইতর জীবের ধৰ্ম্মজ্ঞান আদে নাই। কীট পতঙ্গ উদ্ভিদ বা জড়পিণ্ডাদির কথাত দূরস্থ। পশুদিগের ধৰ্ম্মজ্ঞান নাই,— মানুষের আছে, তাই মানুষ পশু হইতে উচ্চ। আপনি কি কথা বলিলেন, আমি বুঝিতে পারিলাম না। । গুরু। মানুষের , ধৰ্ম্মজ্ঞান আছে বলিয়া মানুষ পশু হইতে শ্রেষ্ঠ । মানুষের ধৰ্ম্ম আছে, ধৰ্ম্ম জ্ঞান আছে,— আর পশু পক্ষ্যাদির ধৰ্ম্ম আছে, ধৰ্ম্ম জ্ঞান নাই। উদ্ভিদাদিরও ধৰ্ম্ম আছে, ধৰ্ম্মজ্ঞান নাই। জ পিণ্ডাদিরও তাহাই,— ধৰ্ম্ম আছে, ধৰ্ম্ম জ্ঞান নাই। কিন্তু মানুষ হইলেই যে, তাহার ধৰ্ম্ম জ্ঞান আছে, একথা ও সৰ্ব্বত্র সত্য নহে। বনে জঙ্গলে বা অনেক অসভ্য দেশে এমন মানুষ আছে, যাহার ধৰ্ম্ম কি, তাহ জানে না, বা কোন প্রকারেই ধৰ্ম্মের আলোচনা বা সাধনা করে না,— পশুর ন্যায় আহার মৈথুন ভয় নিদ্রা লইয়াই জীবনের গণাদিন কয়টা কাটাইয়া দেয়। সভ্য সমাজেও মানুষ জন্মিয়াই ধৰ্ম্মজ্ঞান লাভ করে না, – এমন কি অনেকে প্রাপ্তবয়স্ক হইয়াও— সভ্য সমাজে থাকিয়াও ধৰ্ম্মের দিক্ দিয়া ঘেসে না ।