পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8र्ष *इ] রসতত্ব ও শক্তি-সাধন। 44 ל நகா بهاییتبسکتبتی-تی-تی-تی-جیت “যে আমাকে যে ভাবে উপাসনা করে, আমি তাহাকে সেই ভাবেই তুষ্ট করি। মনুষ্য সৰ্ব্বপ্রকারে আমার পথের অনুবৰ্ত্তী হয় ।” 嗣 ইহাতেই ভগবদুপাসনা পদ্ধতি বিভিন্ন হইলেও, যে তাহার পথের অমুবৰ্ত্তী হয়, এ কথা বুঝিতে পারা গেল। তবে ইহা বলা হয় নাই যে, সকলেই আমাকে পাইবে। শ্লোকটি আরও একটু ভাল করিয়া বুঝিতে হইলে টীকা বুঝিবার প্রয়োজন। ৮বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মহাশয় এই শ্লোকটির এইরূপ বাঙ্গাল ব্যাখ্যা করিয়াছেন,— অগ্রে প্রথম চরণ বুঝা যাউক। অর্জুন বলিতে পারেন, “প্রভো । আসল কথাটা কি, তা ত এখনও বুঝাও নাই । নিষ্কাম কৰ্ম্মেই তোমাকে পাইব, আর সকাম কৰ্ম্মে কিছু । পাইব না কি ? সে গুলা কি পণ্ডশ্রম ?” ভগবান এই ৷ সংশয়চ্ছেদ করিতেছেন। সকলেই একই প্রকার চিত্ত ভাবের অধীন হইয়া আমার উপাসনা করে না । যে, যে ভাবে আমার উপাসনা করে, তাহাকে সেইরূপ ফল দান করি। যে যাহা কামনা করিয়া আমার উপাসনা করে, তাহার সেই কামনা পূর্ণ করি। যে কোনও কামনা করে না,—অর্থাৎ যে নিষ্কাম, সে আমায় পায়। কামনাভাবে তাহার কামনা পূর্ণ হয় না, কিন্তু সে আমার পায়। । তার পর দ্বিতীয় চরণ। "মনুষ্ক সৰ্ব্বপ্রকারে আমার । পথের অম্বৰী হয়।” এ কথার অর্থ সহসা এই বোধ হয় । ( >8 )