পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম পঃ ] রস তত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ &@ t তাহার হৃদয় বিজড়িত হইয় পড়ে,—সে কাজ করিতে চাহে না, কিন্তু তাহার মন কৰ্ম্মশূন্ত হয় না,—সে বসিয়া বসিয়া নানারূপ জল্পনা কল্পনা ও অহঙ্কারের সুউচ্চ মঞ্চ গড়াইয়া লয়। পর-নিন্দা, পর-কুৎসা, পরচর্চা ; ইহাই তখন তাহার প্রধান অবলম্বন হইয়া পড়ে। কাজ করিতে পারে না, কিন্তু কাজের ভাব তাহার মন হইতে দূরীভূত হয় না,—অধিকন্তু কুকাৰ্য্যের চিন্তাতেই তখন তাহার হৃদয় পরিপূর্ণ হয়। যখন রজোগুণের প্রাধান্ত হয়, তখন কৰ্ম্মশীলতা প্রবল হইয়া উঠে। মানুষ তখন কৰ্ম্মবীর হয়। কাজ করিবার জন্যই যেন সে জন্মগ্রহণ করিয়াছে,—কাজেই তখন তাহার আনন্দ । কাজ না করিয়া সে থাকিতে পারে ' ন,- ছুটাছুট, দৌড়াদৌড়ি-মাথার ঘাম পায়ে ফেলিয়া কাজ করা—তখন তাহার রজোগুণেরই কাৰ্য্য। রজোগুণে কাজে পরিলিপ্ত করে। আবার যখন সত্ত্বগুণ প্রবল হয়, তখন মানুষ প্রাগুক্ত উভয়ভাবের সংযত অবস্থায় পহুছে,—সত্ত্বগুণের উদয়ে উভয়টিরই সংযতভাব হয়। o বিভিন্ন মানুষে এই উপাদানত্রয়ের কোন একটি প্রবলভাবে বিদ্যমান থাকে। সকলগুলি গুণ অর্থাৎ সত্ত্ব, রজঃ, তমঃ, ত্রিগুণের সমানাবস্থা প্রায় পরিদৃষ্ট হয় না। কাহারও হয়ত তমোগুণ অধিক,—সে, কৰ্ম্মন্তত, অথচ অহঙ্কারশূ