পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বধৰ্ম্মত্যাগ। [ ৩য় অঃ بنایاج টীকা,—হে উদ্ধব! ময় বেদরূপেণ আদিষ্টান অপি স্বকান নিজান সৰ্ব্বান ধৰ্ম্মান সন্ত্যজ্য বিহায়, গুণান দোষাংশ্চ আজ্ঞায় বিদিত্বা যো জন: মাং ভজেৎ, সঃ এব পূৰ্ব্ববৎ সত্তমঃ সাধুনাং মধ্যে শ্রেষ্ঠঃ স্ত্যাৎ । “হে উদ্ধব ! মৎকর্তৃক আদিষ্ট বেদোক্ত স্বধৰ্ম্ম সকল বিসর্জন পূৰ্ব্বক ধৰ্ম্মাধৰ্ম্মের গুণ দোষ পরিজ্ঞাত হইয়া যে ব্যক্তি আমার আরাধনা করে, পূৰ্ব্বকথিত ব্যক্তির ন্যায় সেই ব্যক্তিও সাধুকুলের শ্রেষ্ঠ হয়।” শিষ্য। আরও আশ্চৰ্য্যান্বিত হইলাম,--বেদের অর্থ যে গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হইয়াছে, তাহাই হিন্দুশাস্ত্রে গ্রহণীয়,—অন্ত সকল গ্রন্থ অপ্রামাণ্য এবং অগ্রাহ,—এই কথাই চিরদিন শুনিয়া আসিতেছি, আজি সহসা এই কথা শুনিয়া আমার চিত্ত অত্যন্ত কৌতুহলী হইয়াছে। তবে কি বেদট কিছু নহে? গুরু। কিছু নয় কেন,—বেদ যেমন অপৌরুষেয়, বেদ যেমন হিন্দুধৰ্ম্মের স্তস্তস্বরূপ, তেমনই। তবে কথা এই যে, বেদ সকাম ক্রিয়ার প্রকাশক। প্রাগুক্ত শাস্ত্রীয় বচনাদিতে স্পষ্টই বলা হইয়াছে, বেদ অসম্পূর্ণ ধৰ্ম্মগ্রন্থ,—তাহাতে ধৰ্ম্মের সমস্ত কথা বলা হয় নাই। যাগ যজ্ঞাদি সকাম কৰ্ম্মের কথাই বলা হইয়াছে। জ্ঞান ভক্তি বড় একটা তাহাতে নাই। দেবতাদিগকে বা স্বক্ষশক্তিকে আবাহন করিয়া আনিয়া পূজা করিয়া পার্থিব কাৰ্য্য বা নিজ সম্পত্তি