পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা। ২৯৯ উপর অমুরক্ত হইয়াছে, আমি তাহাকে ভক্তি করি,—এই ভক্তি নিকৃষ্ট । কোন হেতু নাই, কোন কারণ নাই— তথাপি সমস্ত হৃদয়খানি যুড়িয়া ভক্তির প্রখরস্রোত বহিতে থাকে,—তাহার নাম শুনিলে, তাহার গুণকীৰ্ত্তন শুনিলে, তাহার রূপ বর্ণনা শুনিলে, আপনিই প্রাণে ভক্তির তরঙ্গ থেলিয়া যায়- আপনিই পুলক অশ্র কল্পনা প্রভৃতি ভক্তির লক্ষণ উদয় হয়,—সেই ভক্তিই জ্ঞানশূন্ত ভক্তি। তিনি কেমন, তিনি কোথায় থাকেন, তিনি কি করেন, তাহার গুণ কি,—ইত্যাকার জ্ঞানচর্চা পরিত্যাগ করিয়া কেবল র্তাহার উপরে ভক্তি করাই জ্ঞানশূন্ত ভক্তি। শাস্ত্রে এইরূপ ভক্তি করিবার জন্যই উপদেশ আছে। জ্ঞানে প্রয়াসমুদপাস্ত নমন্তএব জীবস্তি সম্মুখরিতাং ভবদীয়বাৰ্ত্তাং । স্থানস্থিতাং শ্রুতিগতাং তনুবংমনোভির্যেপ্রণয়শোইজিতজিতেহপ্যসি তৈস্ত্রিলোক্যং । , শ্ৰীমদ্ভাগবত—১• স্বঃ, ৩ শ্লেt: | ব্ৰহ্ম ভগবানকে সম্বোধন করিয়া বলিয়াছিলেন,—“হে প্রভো ! যাহার জ্ঞানামুসন্ধানে বিন্দুমাত্রও যত্ন না করিয়া স্বস্থানে অবস্থান পূর্বক সাধুপ্রমুখাৎ তৎ-কথা শ্রবণ ও কায়মনোবাক্যে সৎকার সহকারে তোমাকে অবলম্বন করে, ত্ৰিভূবনমধ্যে তুমি অপরের দুর্লভ হইলেও সেই সকল ব্যক্তি প্রায়ই তোমাকে প্রাপ্ত হয়।”