পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

నిరిg বাৎসল্যপ্রেম। : [ ৩য় অঃ গুরু। না । । শিষ্য। কাহীদের জ্ঞান শ্রেষ্ঠ ? গুরু । বসুদেব ও দেবকীর। শিষ্য। কিন্তু নন্দ-যশোদার বাৎসল্য-প্রেমই অদর্শ। । গুরু । বাৎসল্য-প্রেম নন্দ-যশোদার শ্রেষ্ঠ বলিয়া জ্ঞান শ্রেষ্ঠ হইবে কেন ? জ্ঞান হারাইয়া, ভক্তি হারাইয়া, ভয় হারাইয়া, শাসন হারাইয়া, বাৎসল্য-প্রেম । নন্দরাণী তাহাতে অখিল বিশ্ব দেখিলেন, তখন জ্ঞানের বিকাশ হইল, কিন্তু পরক্ষণেই পুত্রবাৎসল্যে সে সকল ভুলিয়া গিয়া ভগবানকে পুত্ররূপে স্নেহ করিতে লাগিলেন । নন্দ মুনিবাক্য বিশ্বাস করিয়া ভাবিয়া রাখিয়াছেন, তাহার পুত্র নারায়ণের অংশ, তাই এই সকল অলৌকিক কাৰ্য্য সম্পাদন করিতে সক্ষম,— তা বলিয়া কৃষ্ণ যে ভগবান বা অনন্ত, সে ধারণ র্তাহার মাই। বিশ্বনাথ বিরাট বিশ্বময়,—র্তাহাতে সমুদয় ঐশ্বর্যা, স্ক্রয় বিভূতি দেখিয়া, ত্রিলোকবিজয়ী মহাপরাক্রমশালী ঈশ্বৰূপ কৃষ্ণ-সখী অর্জনেরও প্রাণ ৰিকম্পিত হইয়াছিল,— তাই কাতরে বলিয়াছিলেন,—তুমি অনন্তবীৰ্য্য, অনন্তমূৰ্ত্তি, কিন্তু ও রূপ সম্বরণ কর। তোমার রূপ দেখিয়া আমার ভয় হইতেছে-হে অনন্ত! শাস্ত হও। আমি তোমার এই ছদ্ধৰ বিরাট বিশ্বরূপ আর দর্শন করিতে পারিতেছি না। আর বন্ধীৰ আমরা—আমরা কেমন করিয়া সমস্ত বিশ্বকে পুন্ত্ররূপে পালন করিব—স্নেহ করিব ? তিনি ত বিশ্বময়।