পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন্মিলনী-শক্তি । । [ ৪র্থ অঃ وجه 8 মানবগণকে বলিয়া দিতেছে, “মূঢ় মানৰ ! এই শ্মশানের নিকট দাড়াইয়া একবার এই মুখপানির প্রতি চাহিয়া দেখ। আর যাহার জন্য তুমি অন্ধ হইয়া কতই না পশ্বাচার করিয়াছ, সেই স্ত্রীর মুখখানিও স্মরণ কর। এই দেখ তাহার পরিণাম,—সেই মুখারবিন্দই বা কোথায়, আর কোথায় বা ঈদৃশ অবস্থা ! এই কঙ্কালের মধ্যে তাহার কিছু চিহ্ন দেখিতে পাইতেছ কি ? এখন ভাব দেখি, যাহা সুধার ন্যায় সমাদরে পান করিতে, সেই অধর-মধু কোথায় ? সেই মধুমাখা সুমধুর আলাপই বা কোথায়, এবং সেই মদনধনুর বিলাসের ন্যায় ভ্রভঙ্গীর বিলাসই বা কোথায় ? এখন তাহারই এইরূপ পরিণাম, তাহারই মধ্যে ইহা আচ্ছাদিত ছিল। তুমি রাগান্ধ হইয়া চৰ্ম্মাবৃত এই কঙ্কালকেই কত মধুমাথা দ্রব্য মনে করিয়া কত আদর-গৌরব করিয়াছ,—কত মুখ, কত আনন্দ মনে করিয়াছ ! অন্ধ ! সেই সময়ে যদি তোমার এই পরিণাম মনে পড়িত, তাহা হইলে আর ঐরূপ দ্রব্য লইয়। অত। আলোদিত হইতে ना, স্ত্রীমুখে অত সম্মান দান করিতে না ।” গুরু। শিহুলনাচার্য্যের এই কবিতা অতি মধুর,— অতিশয় ভাবব্যঞ্জক এবং তত্তোপদেশে পূর্ণ। কিন্তু তাই বলিয়া যে শিহ্ননাচাৰ্য্য প্রভৃতি রমণীর আকর্ষণ-জাল হইতে অব্যাহত ছিলেন, তাহা মনে করা যায় না, তবে যখন সত্ত। হারাইয়৷ মানুষ বিফলমনোরথ হয়, তখন কাজেই