পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২৮ স্ত্রী-পুরুষ সম্মিলনের উদ্বেগু । [ ৪র্থ অঃ ാ তাহাদের কোন জ্ঞানই নাই,—উহার স্পৃহাও নাই। অতএব উছার মূল কারণ এমন কিছু হওয়া চাই, যাহা কোনরূপ জীবরাজ্যেই অব্যাহত হইবে না এবং তাহ বোধ হয়, পুংস্তুশক্তি আর স্ত্রীত্বশক্তির আত্মলাভের স্পৃহা। জড়পদার্থের শক্তিরাজ্যে প্রবেশ করিলেই দেখা যায় যে, পরস্পরে বিরুদ্ধ এক শক্তিই অপর শক্তির জীবনরূপে অবস্থিতি করে। অপর একটি বিরুদ্ধ শক্তিকে নির্ভর না করিয়া,— তাহাকে আশ্রয় না করিয়া, কোন শক্তিই আত্মলাভ কিম্বা কোন ক্রিয়া করিতে সমর্থ হয় না। এই ঘটনায় সৰ্ব্বদাই শক্তিরাজ্যে পরস্পরের উপমাই-চিলিতেছে এবং পরস্পরের সামঞ্জস্য নির্বাহ হইতেছে। এমন কি, মনে হয় যেন, এক শক্তিকে পরাভব করিবার নিমিত্তই অপর শক্তির বিকাশ এবং তাহারই নিমিত্ত উহার আত্মধতী থাকা । চুম্বকশক্তির বিষয় পৰ্য্যালোচনা করিলে মনে হয় যে, যদি সমাকর্ষক চুম্বকশক্তি না থাকিত, তবে বিপ্রকর্ষক চুম্বকশক্তিও এ পৃথিবীতে পরিলক্ষিত হইত না। আবার বিপ্ৰকর্ষক না থাকিলেও বোধ হয়, সমাকৰ্ষক চুম্বকশক্তির চিহ্ন পাওয়া যাইত না। এইরূপ, সংযোজক তড়িৎশক্তির অসদ্ভাব থাকিলেও বোধ হয়, জগতে বিয়োজক তড়িতের অস্তিত্ব থাকিত না । আবার বিয়োজকের অভাবেও সংযোজক তড়িৎ পাওয়া যাইত না। দেহের দক্ষিণাঙ্গের শক্তি নষ্ট হইলে, বামাঙ্গের শক্তি অক্ষুন্ন থাকে না। শক্তির ক্রিয়