পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ 88సి ইহাতে কি বুঝিতে পারিলে এবং ইহা যখন পাঠ করিবে, তখন পণ্ডিত মহাশয়ের পূৰ্ব্বোক্ত মৰ্ম্মার্থের প্রতি লোকের কিরূপ শ্রদ্ধা থাকিবে ? এ স্থলে কি স্পষ্টতররূপে প্রকৃত মন্থের কথাই বলা হয় নাই ? – শিষ্য। ইহাতে আর দ্বিবিধ মত পোষণ করা যাইতে পারে না । - গুরু। অতঃপর মাংস সম্বন্ধেও কিছু শোন ;– মাংসস্তু ত্ৰিবিধং প্রোক্তং জলভূচরখেচরমূ। যস্মাৎ কন্মাৎ সমানীতং যেন তেন বিঘাতিতম্ ॥ তৎ সৰ্ব্বং দেবতা প্লীত্যৈ ভবেদেব ন সংশয়ঃ। সাধকেচ্ছ। বলবতী দেয়ে বস্তুনি দৈবতে । যদ যদাত্মপ্রিয়ং দ্রব্যং তত্তfদষ্টীয় কল্পয়েৎ ॥ বলিদানবিধে দেবি বিহিত: পুরুষঃ স্ত্রীপগুন চ হস্তব্যস্তত্র শাস্তবশাসনৎ ॥ মহানিৰ্ব্বtণতন্ত্র-৬ষ্ঠ উঃ । “মাংস ত্ৰিবিধ ;–জলচর, ভূচর ও থেচর। ইহা যে কোন লোক দ্বারা ঘাতিত বা যে কোন স্থান হইতে আনীত হউক, নিঃসন্দেহ তাহাতে দেবগণের তৃপ্তি হইয়া থাকে। দেবতাকে কোন মাংস বা কোন বস্তু দেয়, তাহা সাধকের ইচ্ছামুগত ;—যে মাংস যে বস্তু নিজের তৃপ্তিকর, ইষ্টদেবতার উদেশে তাহ প্রদান করাই কর্তব্য। দেবি ! পুংপগুই বলিদানক্ষেত্রে বিহিত হইয়াছে—স্ত্রীশপ্ত বলি দেওয়া শিবের আজ্ঞার বিরুদ্ধ, সুতরাং তাহ দিতে নাই।”