পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা। 8(్సరీ শিষ্য। যে বিষয় শুনিতেছিলাম, এখনও তাহা ভালরূপে হৃদয়ঙ্গম করিতে পারি নাই। গুরু। কোন বিষয় বুঝিতে পার নাই ? শিষ্য। তন্ত্রে যে মদ্য, মাংস প্রভৃতি পঞ্চতত্ত্বের বিষয় উল্লেখ আছে, তাহ রূপক শুনিয়া তথাপি মনটাকে একটু আশ্বস্ত করিয়া রাখিয়াছিলাম,—এক্ষণে আপনি যে সকল তান্ত্রিক বচন উদ্ধৃত করিয়া শুনাইলেন, তাহাতে আর যে সকলকে কখনই রূপক বলিয়া ধারণা করা যাইতে পারে ন,—তবে কি সত্য সত্যই তন্ত্রশাস্ত্রের উদ্দেশু যে, মানুষ ঐ সকল ঘৃণ্য কাজে পরিলিপ্ত হয় ? গুরু। উহা ঘৃণা কাজ নহে। জগতে যাহা আছে, সমস্তই কাজ,—কোন কাজের হাত হইতেই নিস্তার পাইবার কাহারও উপায় নাই,তই ভোগের পথ দিয়া মানুষকে বিবেকের পথে লইবার জন্য তন্ত্রশাস্ত্রের ঐ বিধান। শিষ্য। ভাল, আর একটা কথা। T গুরু । কি বল ? . . . শিষ্য। পূৰ্ব্বে আগমসার হইতে পঞ্চতত্বের যে শ্লোকগুলি আপনাকে শুনাইয়াছি, উহাও অবশু তন্ত্রশাস্ত্রের কথা,— তবে সেগুলি কি মিথ্যা লিখিত হইয়াছে ? এই উভয় তন্ত্রের বিরোধিতা নিরাকরণের উপায় কি ? গুরু। উপায় সুন্দরই আছে। শিষ্য। তাহা কি ?—আমাকে বলুন ?