পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8& 8 পঞ্চতত্ত্বের তত্ত্ব। [ ৫ম অঃ গুরু । এখন কথা হইতেছে, সদাশিব বলিয়াছেন,— কুলাচারই_সাধনার_শ্রেষ্ঠ,–কুলাচার ব্যতিরেকে মানুষের উদ্ধারের উপায় নাই। কুলাচারে পঞ্চতত্ত্ব ব্যতিরেকে সাধনা হয় না,—কিন্তু যাহারা প্রথম সাধক, তাহারাই না হয়, ঐ সকলের সংগ্ৰহ করিয়া লইতে পারে, কিন্তু যাহারা সাধনার দ্বিতীয় স্তরে উঠিয়াছে, তাহারা কি করিয়া ঐ সকল তত্ত্ব সংগ্ৰহ করিবে এবং কেনই বা করিতে যাইবে, তাহাদের দেহই ক্ষুদ্র ব্ৰহ্মাণ্ড-এ ব্রহ্মাণ্ডে সমস্তই বিদ্যমান। তাহারা তখন দেহ হইতেই ঐ পঞ্চতত্ত্ব সংগ্ৰহ করিয়ী দেবীকে প্রদান করিয়া থাকেন। বলা বাহুল্য, প্রথম স্তরের সাধকের দেহের উপরে সে প্রকার ক্ষমতা জন্মে না বলিয়াই, তাহাদিগকে ঐ সকল তত্ত্ব বাহির হইতে সংগ্ৰহ করিতে হয়। শিষ্য। পঞ্চতত্ত্বের কথা যাহা বলিলেন,—তাহাতে মানুষের কি উপকার হইয়া থাকে ? গুরু। সে কথা তন্ত্রেই ব্যাখ্যাত হইয়াছে, বলিতেছি— শ্রবণ কর । r পৰ্ব্বত্যুবাচ। কুলং কিং পরমেশনি কুলাচারশ কিং বিভে । লক্ষণং পঞ্চতত্বস্ত শ্রোতুমিচ্ছামি তত্ত্বত: । মহানিৰ্ব্বtণতন্ত্র—-৮ম উঃ । “পাৰ্ব্বতী কহিলেন,—হে পরমেশ ! কুল কি, কুলাচার কাহার নাম এবং পঞ্চতত্ত্বের লক্ষণ কি,-আমি তোমার নিকট হইতে তাহার যথার্থ শুনিতে ইচ্ছা করি।”