পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চতত্ত্বের তত্ত্ব । । { ৫ম অঃ هده না, অতএব রাজা বা সম্রাট সুরামত্ত ব্যক্তিকে শারীর ও আর্থিক দণ্ডের দ্বারা দণ্ডিত করিবেন । মদ্যপায়ী সমস্ত প্রকার অকৰ্ম্ম করিতে পারে, এবং উহাদের আত্মা এতই পাপাক্রান্ত হয় যে, ঈশ্বরেতেও কিছুমাত্র শ্রদ্ধা থাকে না। এতাদৃশ নরাধমকে রাজা জিহবা দগ্ধ করিয়া তাহার সমস্ত অর্থ কাড়িয়া লইয়া দেশ হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিবেন।” এখন বোধ হয়, তোমাকে আর বলিয়া দিতে হইবে না যে, তন্ত্রশাস্ত্রের উদ্দেশু নহে যে, মানুষ মাতাল হইয়। আনন্দ লাভ করুক। মদ্যপায়ী যে মনুষ্যত্বের বাহিরে চলিয়া যায়, মদ্যপায়ী যে পশুরও অধম হইয়া পড়ে, মদ্যপায়ীর যে সম্পূর্ণ হিতাহিত জ্ঞান বিলুপ্ত হইয়া যায়, তাহ সৰ্ব্বদশী সৰ্ব্বজ্ঞানী মহাযোগ-বলশালী মহাদেব অবগত ছিলেন, কিন্তু ঐ-তেজ প্রদান দ্বারা কুণ্ডলিনীর জাগরণ জন্য উহা দ্বারা তন্ত্রের সাধন প্রচারিত হইয়াছে। এক্ষণে স্থির হইল যে, শাস্ত্রকার অবগত ছিলেন, মদ্যপান অতি দুষণীয় ; তথাপি ঐ তেজঃতত্ত্ব সাধনার জন্ত গ্রহণে ব্যবস্থা দেওয়া হইয়াছে। শাস্ত্রে অধিকারী-বিশেষ লক্ষ্য করিয়া বিশেষ বিশেষ ব্যবস্থার সমাবেশ আছে, সুতরাং শাস্ত্রের পরস্পর বিরোধ বাক্যে দোষ নাই। এক প্রকার অধিকারীকে লক্ষ্য করিয়া মদিরা পানের বিধি করিয়াছেন, আবার যে প্রকার অধিকারীর পক্ষে অতীব অহিতকর, তাহাও নির্দেশ করিয়াছেন। তাই বলা হইয়াছে,—