পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ পঃ রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ 8b”(。 তখন প্রাণিগণ যৌবনোচিত ক্রিয়ারই অনুষ্ঠান করে ;– আবার যৌবনের অবসানে বাৰ্দ্ধক্য আসিয়া উপস্থিত হয়, তখন জীবগণ বাৰ্দ্ধক্যোচিত ক্রিয়ারই অনুষ্ঠান করে ; তেমনি ভাব সম্বন্ধেও বুঝিতে হইবে। সাধক, পশুভাব কাটিয়া গেলে, আর পশুভাবের আচার অনুষ্ঠান করিবে না,—তখন বীরভাবোচিত আচারের অনুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হইবে। আবার বীরভাব অন্তৰ্হিত হইলে, তখন সাধক দিব্যভাবের অবলম্বন করিয়া দিব্যভাবোচিত আচারেই নিরত হইবে । সুতরাং ভাবের সহিতই আচারের মুখ্য সম্বন্ধ,-ভাবানুসারেই আচারের প্রবৃত্তি,—প্ৰত্যুত ইচ্ছানুসারে আচারে প্রবৃত্ত হইতে পারা যায় না। যতক্ষণ পশুভাব থাকে, ততক্ষণ বেদাদি আচার চতুষ্টয়েরই অনুষ্ঠান করিতে হইবে,— বামাচারাদি আচারে তখন অধিকারই জন্মে না। এই সময়ে বামাচারাদির অনুষ্ঠান করিলে, সাধকের অধোগতি ভিন্ন উন্নতির কিছুমাত্র সম্ভাবনা নাই। এই প্রকার পশুভাব নিবৃত্তি হইয়া যখন বীরভাবের আবির্ভাব হইবে, তখন বাম ও সিদ্ধান্ত আচারের অনুষ্ঠান করিবে,--সেই সময়ে কুলাচারের অঙ্গুষ্ঠানে কোনই ফল হইবে না। অতএব ভাবের বা জ্ঞানের অনুবৰ্ত্তী হইয়াই আচারের (অমুষ্ঠেয় বিষয়ের) অবলম্বন করিতে হইবে। সাধক যে সময় যেরূপ জ্ঞানসম্পন্ন থাকে, সেই সময়ে লেই জানামুগত,-সেই জ্ঞানের সহিত মাখান যে আচার,