পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ 8切為 এতদ্বেদিতুমিচ্ছামি মদীয়সাধণং পরম্। ব্রহ্মসাযুজ্যজননং যত্ত্বয়। কথিতং প্রভো । মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্র—৪র্থ উঃ । দেবাদিদেব শঙ্কর মহাশক্তি পাৰ্ব্বতীর নিকটে ব্রহ্মোপাসনার মাহাত্ম্য ও পদ্ধতি বর্ণনা করায় এবং মহাশক্তি বা পরম প্রকৃতির আরাধনা-মাহাত্ম্য তৎসঙ্গে বর্ণনা করায় দেবী পরম পরিতৃপ্তি লাভ করিয়াছিলেন। “পরমেশ্বরী পরমেশ্বর-প্রমুখাং পরব্রহ্মের উপাসনার কথা শ্রবণ করিয়া পরমানন্দিত মনে শঙ্করকে জিজ্ঞাসা করিলেন ।” দেবী কহিলেন, —“হে নাথ ! আপনি যে সৰ্ব্বলোকের প্রিয়জনক সাক্ষাৎ ব্রহ্মপদ-প্রদায়ক ব্রহ্মোপাসনার কথা বলিলেন, ইহা দ্বারা তেজ, বুদ্ধি, বল ও ঐশ্বৰ্য্য বৃদ্ধি পাইয়া থাকে,—ইহা সৰ্ব্ব মুখের নিদান-স্বরূপ। হে জগদীশ্বর! আপনার বাক্যামৃত পানে আমি পরিতৃপ্ত হইয়াছি। হে দয়াসিন্ধে ! আপনি বলিয়াছেন যে, ব্রহ্মোপাসনায় যেরূপ ব্ৰহ্ম সাযুজ্য লাভ হয়, তাহার স্তায় আমার সাধনাতেও হইয় থাকে। হে প্ৰভো! আপনার কথানুযায়ী ব্ৰহ্মসাযুজ্য-জনক আমার সাধনার ফল জানিতে ইচ্ছা করি।” তুমি বোধ হয়, ইহাতেই বুঝিতে পারিয়াছ যে, ব্ৰহ্ম ও মহাশক্তি ইহাতেই সম্পূর্ণ পৃথক জ্ঞান হইতেছে। কেন ন, শঙ্কর প্রথমেই ব্রহ্মোপাসনার কথা বলিয়। তৎপরে মহাশক্তির আরাধনার কথা বলিয়াছেন। তাঙ্গাতেই দেবী