পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৫০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ 8、气 সেই মহামায় রূপ রস গন্ধ স্পর্শ শব্দের হাট বসাইয়৷ জীবগণকে প্রলুদ্ধ করিয়া এই ভবের হাটে খেলা করিতেছেন। এই রূপ রস গন্ধ স্পর্শ শব্দের প্রলোভনে জীব ছুটিয়া ছুটিয়া ঘুরিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতেছে,—ইহাদের আকর্ষণে জীব সমুদায় উন্মত্ত। জীবের সাধ্য নাই যে, এ নেশা— এ আকুল তৃষা নিবৃত্তি করিতে পারে। তবে যদি সেই রূপ রস গন্ধ স্পর্শ ও শব্দের মহাধিষ্ঠাত্রী দেবী—সেই পরমাবিদ্যা মুক্তির হেতুর্ভূত সনাতনী প্রসন্ন হয়েন, তবেই জীব এই বন্ধন হইতে বিমুক্ত হইতে পারে,—এই রূপ রসের বাজার হইতে বাহির হইতে পারে। রাজা গলদশ্র লোচনে রুদ্ধকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন,— “দেব! সেই দেবী কে ? যিনি সমস্ত জীব-জগংটা এমন করিয়া ঘুরাইতেছেন-বাধিতেছেন, আবার প্রসন্না হইলে মুক্তি দান করিতেছেন ?” মৃদুহান্তাধরে কারুণ্য-কণ্ঠে ঋষি বলিলেন,— মিত্যৈব সা জগন্ম,ৰ্ত্তিস্তয়া সৰ্ব্বমিদং ততম্। তথাপি তৎ সদ্যুৎপত্তি হধ さ園寺tR リ 』 মার্কণ্ডেয় চণ্ডী। তিনি নিত্য, তিনিই এই জগতের মূৰ্ত্তিস্বরূপ, তিনিই বিশ্বেশ্বরী এবং বিশ্বের সমস্ত। তথাপি তাহার উৎপত্তি বিষয়ে বহু কথা শুনিতে পাওয়া যায়।—তিনি রূপ, তিনি রস, তিনি গন্ধ, তিনি স্পর্শ, তিনি শব্দ। তিনি