পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধন । & © X এই তিনটি প্রথম বীজ পরিত্যাগ করিলে, “পরমেশ্বরি স্বাহ৷” এই সপ্তাক্ষরী মন্ত্র হয় ; ইহার পূৰ্ব্বে ক্লীং কামবীজ, ঐং বাগবীজ ও প্রণবযোগ করিলে, “ক্লীং পরমেশ্বরি স্বাহ৷” “ঐং পরমেশ্বরি স্বাহ৷” “ওঁ পরমেশ্বরি স্বাহ৷” এই অষ্টাক্ষর যুক্ত তিনটি মন্ত্র হইয়া থাকে। দশাক্ষর মন্ত্রের সম্বোধন পদের অন্তে কালিকে এই পদ উচ্চারণ করিয়া, বহৃিবধূ অর্থাৎ স্বাহাপদ উচ্চারণ করিবে। তখন জীং শ্ৰীং ক্রীং পরমেশ্বরি কালিকে, হ্ৰীং শ্ৰীং ক্রীং স্বাহ এই ষোড়শাক্ষর মন্ত্র হইবে ;–ইহা সকল তন্ত্রেই গুপ্ত আছে, আমি তোমার নিকটে সমস্তই কহিলাম, যদি এই মন্ত্রের প্রথমে শ্ৰীং প্রণব অথবা ওঁ যোগ হয়, তাহী হইলে দুইটি সপ্তদীক্ষর মন্ত্র হইবে, হে প্রিয়ে ! তোমার কোটি কোটি অর্বুদ অথবা অসংখ্য মন্ত্র আছে,—এস্থলে সংক্ষেপে দ্বাদশটি মন্ত্রের কথা কহিলাম।” তৃতীয় পরিচ্ছেদ । কুলাচার সাধন । গুরু । মন্ত্রোদ্ধার করিয়া মহাযোগী সদাশিব কুলাচার সাধনতত্ত্ব বলিয়াছেন ।