পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

☾ জড় ও চৈতন্ত। [ ১ম জঃ জল হইতে ক্ষিতির উৎপত্তি, এবং এই পঞ্চের পঞ্চীকরণ লইয়াই জগৎপ্ৰপঞ্চ বিরচিত ; তোমার লয়েড মর্গানের থিয়োরি এদেশের অতি পুরাতন এবং সেই তত্বের উপরেই বৈষ্ণবের রাধাকৃষ্ণ ও তান্ত্রিকের হরগোরী। । শিন্য। তাহাতে সাধনতত্বের কি আছে,—জানিতে আমার বড় বাসনা হইতেছে। গুরু। তদ্বিষয় অবগত হইতে হইলে, প্রকৃতি ও পুরুষের বিষয় আরও একটু ভাল করিয়া বুঝিতে হইবে। বলা বাহুল্য, এই প্রকৃতি-পুরুষতৰ সাংখ্যদর্শনের উপর স্থাপিত। পাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিকই বল, আর আমাদের দেশের জ্ঞানীগণই বল, সকলেই সাংখ্যদর্শনের নিকট ঋণী। অতএব সাংখ্যদর্শনের সংক্ষিপ্ত মতটা এস্থলে শুনিয়া রাখ। আমাদের দেশের সুচিন্তাশীল স্বামী বিবেকানন্দ আমেরিকায় যে বক্তৃতা করিয়াছিলেন, তাহাতে তিনি অতি সুন্দর ভাবে সাংখ্যদর্শনের এই তত্ত্ব অতি সংক্ষিপ্ত ভাবে প্রকাশ করিয়াছিলেন, তোমার অবগতির জন্ত তাহারই বঙ্গানুবাদ উদ্ধৃত করিয়া পাঠ করিতেছি।--সাংখ্যদর্শনের মতে, বিষয়-জ্ঞান বিষয়ের সহিত চক্ষুরাদি যন্ত্রের সংযোগ হয়। চক্ষুরাদি ইন্দ্রিয়গণের নিকট, উছা প্রেরণ করে ; ইন্দ্রিয়গণ মনের ও মন নিশ্চয়াত্মিক বুদ্ধির নিকট লইয়া যায়, তখন পুরুষ ৰা আত্মা উহা গ্রহণ করেন ; পুরুষ আবার যে সকল সোপান পরম্পরায় উহা আসিয়াছিল, তাহাদের মধ্য দিয়া