পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা। ووفا গুরু। অনেকেই বুঝে না। বুঝে না,—ভাবে না বলিয়াই বুঝে না, বুঝিতে চেষ্টা করে না বলিয়াই বুঝে না। ভগবান সে কথা নিজেই বলিয়া দিয়াছেন,—“আমি না জন্মিলে । লোকে আদর্শ খুজিয়া পায় না। আমি অনন্ত—সান্ত মানুষ আমার আদর্শ লইয়া কাজ করিবে কেমন করিয়া ? তাই আত্মপ্রকৃতিকে আশ্রয় করিয়া আত্মমায়ায় জন্ম এহণ করি । যখন কতকগুণি প্রাণ সমুন্নত ধৰ্ম্ম প্রণালী চাহে—তখনই যে আমাকে আসিতে হয়। ডাকিলে যে আমি থাকিতে পারি না। না আসিলে তাহারা যাহা চায়, তাহ পাইবে কোথায় ? লোকের আদর্শ হইতে—লোককে শিক্ষা প্রদান করিতে,—অনন্তদেব সাস্ত হইয়াছিলেন। তাই তিনি ভক্ত—শিষ্য-সখী অৰ্জুনের নিকট অতি মধুর, অতি ওজঙ্গিনী-অতি প্রাণম্পর্শী ভাষায় সে তত্ত্ব কাহিনী বলিয়া দিয়াছিলেন। তিনি বলিয়াছেন,— ন মে পার্থস্তি কৰ্ত্তব্যং ত্ৰিষু লোকেষু কিঞ্চন । নানবাপ্তমবাপ্তব্যং বৰ্ত্তএব চ কৰ্ম্মণি ॥ যদি হহং ন বৰ্ত্তেয়ং জাতু কৰ্ম্মণ তন্ত্ৰিত । মম বসুর্ণমুবৰ্ত্তন্তে মনুষ্যাঃ পার্থ সৰ্ব্বশ: | উৎসীদেয়ুরিমে লোকা ন কুৰ্য্যাং কৰ্ম্ম চেদহম্। সঙ্করস্ত চ কর্তী স্তামুপহন্তামিমা: প্রজাঃ ॥ খ্ৰীমদ্ভগবদগীত।—৩য় অঃ, ২২-২৪ গ্লোঃ । “হে পাৰ্থ! দেখ, ত্রিভুবনের মধ্যে আমার কিছুই