পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ 5\ף( উপর আপনি নির্ভর করিতে শিখিয়াছে, এখন তাহার জীবন বিধিময় এবং কৰ্ম্ম কৃষ্ণ-অর্পিত হইয়া বিশুদ্ধ হইয়াছে, এখন আর তাহার দ্বারা সমাজভঙ্গের আশঙ্কা নাই,— এখন তাহার পড়িয়া মরিবার ভয় নাই । এখন স্বতন্ত্রতাই তাহার উন্নতি, এখন তাহাকে ধরিয়া রাখিলে যে, সে দুৰ্ব্বল হইবে ; সুতরাং রায়ের তৃতীয় শ্লোকের উদ্দেশু এই যে, আর তাহাকে গণ্ডীর ভিতরে রাখা কৰ্ত্তব্য নহে। তাহার স্বধৰ্ম্মত্যাগই ধৰ্ম্ম । কিন্তু ইহাও জগতে বহুদিন প্রচারিত হইয়াছিল। কৃষ্ণাবতারে ইহ সংস্থাপিত হয় নাই । কাজেই রামানন্দের বাক্য শ্রবণে — “প্ৰভু কহে এহ বাহ আগে কহ আর।” ইহাও বাহিরের কথা। আরও অগ্রসর হইয়া বলিতে হইবে। প্রভুর এই কথা শুনিয়া কাজেই— “রায় কহে জ্ঞানমিশ্র ভক্তি সাধ্য সার ॥” রামানন্দ বলিলেন,—জ্ঞানমিশ্রাভক্তিই শ্রেষ্ঠ । শাস্ত্রাদি বিচার দ্বারা নিত্যানিত্য বিবেক দ্বারা, জগতের স্বষ্টিকৌশল দ্বারা ভগবানকে আশ্রয় ও অবলম্বনস্বরূপ জানিয়া তাহার প্রতি যে আসক্তি, তাহাই জ্ঞানমিশ্রাভক্তি। এই ভক্তিতে স্তুতি থাকে, স্তৰ থাকে, প্রার্থনা থাকে, আরাধনা-উপাসনা সকলই থাকে। ইহাই ভক্তির প্রথম স্তর। এই জ্ঞানমিশ্রাভক্তির কথা শুনিয়া,— “প্ৰভু কহে এহ বাহ আগে কহ আর ।” ( ; )