পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ ዓ ፃ কিন্তু যার যেই রস সেই সৰ্ব্বোত্তম । তটস্থ হঞা বিচারিলে আছে তার-তম ৷ পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব রসের গুণ পরে পরে হয়। এক দুই গণনে পঞ্চ পৰ্য্যন্ত বাঢ়য় ॥ গুণাধিক্য স্বাদাধিক্যে বাড়ে সৰ্ব্ব রসে । শান্ত দাস্ত সখ্য বাৎসল্যের গুণ মধুরেতে বৈসে । আকাশাদির গুণ যেমন পর পর ভূতে। দুই তিন গণনে বাঢ়ে পঞ্চ পৃথিবীতে। পরিপূর্ণ কৃষ্ণপ্রাপ্তি এই প্রেম হৈতে। এই প্রেমের বশ কৃষ্ণ কহে ভাগবতে ॥ কৃষ্ণের প্রতিজ্ঞা দৃঢ় সৰ্ব্বকাল আছে। যে যৈছে ভজে কৃষ্ণ তারে ভজে তৈছে। এই প্রেমের অনুরূপ না পারে ভজিতে। অতএব ঋণী হয় কহে ভাগবতে ॥ যদ্যপি সৌন্দৰ্য্য কৃষ্ণ মাধুর্য্যের ধূৰ্য্য। ব্ৰজদেবী সঙ্গে তার বাঢ়য়ে মাধুৰ্য্য। রামাননারায় প্রেমের ভূজন সম্বন্ধে এই সকল কথা বলিলে,— রস-সাধন-তত্ত্বের এই পৰ্য্যন্ত ব্যাখ্য' শ্রবণ করিয়া চৈতন্যদেব পুলকিত হইলেন, কিন্তু আরও বলিবার বাকি আছে বিবেচনা করিয়া, সেই নিগুঢ় রসতত্ত্ব কাহিনী শ্রবণে অভিলাষী হইয়া,— “প্ৰভু কহে এই সাধ্যাবধি মুনিশ্চয়।