বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
৪৮

মঘরাজ ও রাঙ্গামাটি
জয়

হন। নবরায়ের পর তৎপুত্র হামতরফা বা যুঝার রাজা হন। সুতরাং হামতরফা প্রতীতের অধস্তন চতুর্থ পুরুষ।

 এতকালের মধ্যে মহারাজ দ্রুহ্যুর বংশে এইরূপ অ-সংস্কৃত নাম পাওয়া যায় নাই। ইহার কারণ কি? প্রথম দৃষ্টিতে মনে হয়, ত্রিপুর রাজবংশের আর্য্যভাগ শেষ হইয়া বুঝি অনার্য্য ভাগ সুরু হইল। কিন্তু কারণ অনুসন্ধান করিলে এইরূপ আশঙ্কা দূর হইবে।

 যুঝার প্রসিদ্ধ কীর্ত্তি রাঙ্গামাটি জয়। তিনি ত্রিপুর সৈন্যকে উচ্চশ্রেণীর সামরিক শিক্ষা দিয়া দেশ জয়ে প্রবৃত্ত হন। রাঙ্গামাটি তখন প্রবল পরাক্রান্ত মঘদের দ্বারা অধিকৃত। প্রাচীন ভূগোল আলোচনায় বুঝা যায় রাঙ্গামাটি বলিতে তখন ত্রিপুরার দক্ষিণাংশ, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের পশ্চিমাংশ বুঝাইত, এই অংশে এখনও মঘ বসতি আছে এবং চট্টগ্রামে এখনও রাঙ্গামাটি প্রসিদ্ধ স্থান। মহারাজ যুঝার কালে রাঙ্গামাটির আয়তন ত্রিপুরা পর্য্যন্ত পৌঁছিয়াছিল। এই মঘরাজত্বে মঘদের বিশেষ প্রতিপত্তি ছিল।

 মঘরাজ যখন শুনিলেন ত্রিপুরেশ্বর অভিযান প্রেরণ করিবেন তখন তিনি কৌশল করিয়া এক তুষেরদুর্গ নির্ম্মাণ করেন, উদ্দেশ্য যতুগৃহ দাহ করা কিনা সঠিক বুঝা যায় না। বাহিরে এরূপ প্রচার করা হয় তুষ মাড়ান সিপাহী সৈন্যের পক্ষে অমঙ্গলজনক। কিন্তু ত্রিপুর সৈন্যকে তুষ আটক রাখিতে