পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত1 నన్స్ এই পুণ্যশীল ও প্রাতঃস্মরণীয়া রমণীকে অকালে জীবনের প্রথম ভাগেই নিদারুণ বৈধ ব্য-দশায় নিপতিত হইতে হইল। ইনি স্বীয় মহামূল্যবান জীবনকে তুচ্ছ ও অকিঞ্চিৎকর জ্ঞানে নিয়ত ধৰ্ম্মকাৰ্য্যে, দেবসেবায়, এবং তীর্থ পর্য্যটনে সময়াতিবাহিত করিতে কৃতসঙ্কল্প হইলেন। গয়া, কাশী প্রয়াগ এবং শ্রীবৃন্দাবন প্রভৃতি তীর্থ পৰ্য্যটন করত: বারাণসীতে প্রত্যাগমনকালে ইহঁার জনক তথায় মানবলীলা সম্বরণ করিলেন । রাণী শরৎসুন্দরী বারাণসীতে মহাসমারোহে পিতৃ শ্ৰাদ্ধাদি ক্রিয়া সমাপনান্তে পুঠিয়াতে প্রত্যাগমন করতঃ রাজত্ব ভার স্বহস্তে গ্রহণ করেন। অন্যান্য অপরিণামদশী ও প্রজাপীড়ক ভূম্যধিকারিগণের ন্যায় ইহঁর হৃদয় ও অন্ত:করণ পাষাণ নিৰ্ম্মিত নহে । ইনি অপত্যস্নেহে প্রজাবৃন্দের দুঃখমোচন ও সুখ বৃদ্ধি করিয়া থাকেন। ইহঁার দানশীলতা ও পরোপকারিত জগদ্বিখ্যাত। অনেক স্থানে দরিদ্রবৃন্দের চিকিৎসার্থ দাতব্য ঔষধালয় এবং দুর্ভিক্ষপ্রপ্রীড়িত দেশে বিপুল অর্থ প্রদান করতঃ লোকের অন্নকষ্ট নিবারণে নিয়তই যত্নবতী । ১৮৭৭ সালে দিল্লীর দরবারে ইনি মহারাণী উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছেন। মহারাণী শ্ৰীমতী শরৎস্থদেরী দেবী সমস্ত বঙ্গ সাম্রাজ্যের রমণীকুলের শিরোভূষণ। ইনি মহারাণী ভবানীর ন্যায় লোকমণ্ডলীর প্রাতঃস্মরণীয়া । ইনি বারেন্দ্র ভূমির গৌরব ও অত্যুজ্জল রত্নস্বরূপ। ইহার বিশুদ্ধ চরিত্র, পবিত্র দেবভাব, দানশীলতা ও সহানুভূতি জগজ্জনের অনুকরণীয় আদর্শ। ইনি প্রতি দিন শত শত অনাথ৷ Lচরদুঃখিনী বিধবাগণের ভরণপোষণ করেন। রোগ ও জরাগ্রস্তা মুমুম্বু দুঃখিনীগণের মৃত্যু-শয্যাপার্শ্বে উপবিষ্ট হইয়া স্বয়ং তাহাদিগের সেবা ও শুশ্রুষা করিয়া থাকেন। নারী চরিত্র কতদূর উৎকৃষ্টতা