পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। ఇవీ Q & মূল্যের সম্পত্তি ক্রয় করিয়া ছিলেন। তিনি, সম্পত্তির ভার গ্রহণ সময়ে প্রবল ওয়াটসন কোম্পানী প্রভৃতির সহিত বিস্তর বিবাদ বিসম্বাদ ছিল । ক্রমে ক্রমে সেই গুলি সন্ধি দ্বারা এবং আদালতের আশ্রয়ে মীমাংসা করিয়া রাম রাজ্যের ন্যায় প্রজাপালন করিয়া ছিলেন। অথচ প্রজাগণ সন্তুষ্ট হইয়া ইচ্ছা পূৰ্ব্বক বৃদ্ধি হারে জমা দিতে মধ্য হইয়াছিল। স্বহস্তে ভার গ্রহণকালে সম্পত্তির যে পরিমাণ লাভ ছিল, আঠার বৎসর পর পুত্রের হাতে সম্পত্তি প্রত্যপণ কালে খরিদ সম্পত্তি সহ প্রায় দ্বিগুণিত তায় বৃদ্ধি হইয়াছিল। ১২৮১ বঙ্গাব্দের দুর্ভিক্ষে মহারাণী প্রজাদিগকে মাতার ন্যায় আহার যোগাইয়া ছিলেন, এবং ন্যায্য খাজনার মধ্যে বিস্তর টাকা মাপ দিয়াছিলেন । তবে তাহার আসাধারণ দানশীলতায় সম্পত্তিক্রয়ে যোজিত-অৰ্থ ব্যতীত, সঞ্চয় কিছুই থাকিত না । বরং কিছু টাকা ঋণ হইয়াছিল। ফলতঃ সে সময়ে ডিক্ৰী ইত্যাদিতে যে পরিমাণ প্রাপ্য ছিল, তাহার তুলনায় ঋণ, অতি সামান্য বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। তিনি প্রজাদিগের বিদ্যা শিক্ষা, পীড়িতের চিকিৎসা, কৃষি বাণিজ্যাদির উন্নতি, জল কষ্ট ও পথের কষ্ট নিবারণ নিমিত্ত প্রভূত অর্থ ব্যয় করিয়াছিলেন। র্তাহার দন্তক পুত্র, কুমার যতীন্দ্রনারায়ণ রায় বাহাদুর, র্তাহাকে অসাধারণ ভক্তি করিতেন । মহারাণী তীর্থবাস নিমিত্ত বহু পূৰ্ব্ব হইতে অভিলাষিণী থাকিলেও, কুমারের বয়ঃ প্রাপ্ত কাল প্রতীক্ষায় তাহা করিতে পারেন নাই । ১২৯০ বঙ্গাব্দে কুমার প্রাপ্ত বয়স্ক হইলে, মহারাণী, সম্পত্তি র্তাহার হস্তে অৰ্পণ করিতে ইচ্ছা করিলেন। কিন্তু, মাতৃভক্ত কুমার, কিছুতেই সম্পত্তির ভার গ্রহণে সম্মত কিম্বা মাতৃসন্নিধান ত্যাগ করিতে সম্মত হইলেন না। অন্ত বিষয় মুগ্ধা মুখাভিলাষিণী মহিলা হইলে কুমারের প্রস্তাবেই অনুমোদন করিতেন, কিন্তু