পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S So মইরাণী শরৎস্কুন্দরীর জীবন-চরিত। শুনিলে বক্তাকে সবিনয়ে নিষেধ করিতেন। অতি পাপাত্মাও দুঃখে পড়িয়া তাহার নিকট আশ্রয় ভিক্ষ চাহিলে তিনি অম্লান চিত্তে তাহাকে দয়া করিতেন । তবে কেহ অন্তের সঙ্গে মোকদমা করিতে কিম্বা পাপাত্মাগণ, পাপ হইতে নিবৃত্তি না হইলে তাহাদিগকে কিছু দিতেন না। " তাহার স্বভাবের আর একটা অনিৰ্ব্বচনীয় ধৰ্ম্ম ছিল যে, র্তাহার মতের বিরুদ্ধে অতি সামান্ত লোক বক্তা হইলেও, প্রতিবাদ করিয়া তাহার মনে ব্যথা দিতেন না। তিনি প্রকৃত দরিদ্রের অযাচিত ভাবে দুঃখ মোচন করিতেন। অথচ, বিধবা হইবার দিন হইতে তিনি, রজত, কাঞ্চন, মণি, মুক্ত কিম্বা টাকা মোহর কিছুই স্পর্শ করিতেন না। স্বর্ণ-রৌপ্যাদি উৎসর্গ কালে কুশাগ্রদ্বারা স্পর্শ ব্যতীত তৎসমুদায়ে হস্ত সংলগ্ন করিতেন না । কেহ তাহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে বলিতেন যে, “অর্থই সমস্ত অনর্থের হেতু, অর্থ স্পর্শ করিলেই তাহাতে মমত্ব এবং লোভ বৃদ্ধি হইয়া থাকে।” বাস্তবিক পক্ষে তিনি কৰ্ম্ম-সন্ন্যাসিনী ছিলেন । আকামে যথাশক্তি কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম করিতে অনুমাত্রও ক্রটি করেন নাই। তিনি সৰ্ব্বদা মৃত্তিকা সনে উপবেশন করিতেন, আসন ব্যবহার করিতে হইলে কুশাসন ভিন্ন অন্ত আসন ব্যবহার করিতেন না । শরীর মলদিগ্ধ থাকিলেও,তাহার যোগক্ষম দেহ, পবিত্র সতীত্ব এবং তপস্তার জ্যোতিতে পূর্ণ ছিল। তিনি অযাচিতরূপে শত শত দুঃখীর প্রার্থন পূর্ণ করিতেন। আতিথ্যে র্তাহার পাত্রাপাত্র কিম্বা কালাকাল ছিল না। ধনী হইতে দিনহীন দরিদ্র পর্য্যস্ত, সকলকে তুল্যরূপে উপাদেয় সামগ্রীতে পরিতোষ পূৰ্ব্বক আহার করাইতেন। র্তাহার নিঃস্বার্থ দানের সহস্ৰ সহস্র দৃষ্টান্ত থাকিলেও এস্থানে কতিপয় দৃষ্টান্ত মাত্র উল্লেখ করা যাইতেছে । একবার মহারাণী দোতালার উপর হইতে দেখিলেন যে, নয় কি দশ