পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'〉ミゲ মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত । o অতএব সম্পত্তির ভার মহারাণীর প্রতিই অর্পিত ६हेन। তিনি অগত্য পুঠিয়া রাজধানীতে একজন সুযোগ্য প্রধান কৰ্ম্মচারী রাখিয়া সম্পত্তির কার্য্য চালনা করিয়াছিলেন ব্যতীত, আর পুঠিয়া গমন করিলেন না । ১২৯১ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে মহারাণীর পুত্রবধূ রাণী হেমন্তকুমারী দেবী নিৰ্ব্বিঘ্নে এক কন্যা প্রসব করেন। মহারাণী সেই বালিকা পুত্রবধু এবং পৌত্রীকে নিকটে রাখিয়া কাশীধামে কঠোর নিয়ম দ্বারা ধৰ্ম্মারাধনায় দেহ ক্ষয় করিতে লাগিলেন। কাশীধামে তিনি দুর্গোৎসব, বাসন্তী, অন্নপূর্ণ পূজা এবং সরস্বতী পুজাদি কাৰ্য্য অতি পরিপাটীরূপে নিৰ্ব্বাহ করিতেন। তাহার সঙ্গে একটা শালগ্রাম শিলা সৰ্ব্বদাই রাখিতেন। শালগ্রামের নিত্য পূজান্তে ভোগ হইলে সেই প্রসাদ মাত্র গ্রহণ করিতেন । র্তাহার রাজধানীতে অবারিত অতিথি সেবা থাকিলেও, বারাণসীধামের অন্নসত্রে প্রত্যহ অৰ্দ্ধ মণ তণ্ডুল ও তদুপযোগী অন্তান্ত সামগ্রী বৃদ্ধি করিয়া সত্রের বিশেষ উন্নতি করিয়াছিলেন। এই সত্র, রাজ যোগেন্দ্রনারায়ণের পিতামহ রাণী ভুবনময়ী স্থাপন করিয়াছেন। মহারাণী, বিধবা হইয়া অবধি, চন্দ্র এবং স্থৰ্য্য গ্রহণ যত গুলি হইয়াছে, তাহাতে মন্ত্র পুরশ্চরণ এবং প্রভূত পরিমাণে দানাদি করিতেন। তাহার প্রত্যহ নিত্য পূজায় প্রায় দশ টাকা মূল্যের ভোজ্য সামগ্রী এবং নগদ পাচ টাকা দানের নিয়ম ছিল । কাশীধামে অবস্থিতিকালে প্রতি মাসে পঞ্চ পৰ্ব্বে কাশীস্থ পণ্ডিতগণকে নিমন্ত্রণ করিয়া জলপান করাইয়া যথা সম্ভব টাকা দিয়া বিদায় করিতেন। মহারাণী, অনেক অপরিচিত বিদ্যার্থীকে কাশীধামে বেদ পাঠের সাহায্য করিতেন। তন্মধ্যে দুইটী দূরদেশীয় বিদ্যার্থীর প্রত্যেককে মাসিক কুড়ি টাকা