পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఢిలిం মহ্রাণী শরৎকুন্দরীর জীবন-চরিত। মনান্তর ঘটাইবার অনুষ্ঠান করিতে লাগিল। মহারাণী, পুত্রের অভাবের পর হইতে র্তাহার পুত্রবধুর পিতা প্রকৃতি আত্মীয়গণকে অতি সমাদরে নিকটে রাখিতেন, অনেক বিষয়ে তাহাদের মন্ত্রণাও গ্রহণ করিতেন । স্বার্থীন্ধদিগের চক্ষে তাহ শূলবৎ বিদ্ধ হইত। অথচ মহারাণীকে বলিয়া কহিয় তাহাদের নরকময় স্বার্থের পথে আনিবার সাধ্য ছিল না। তখন তাহারা, মন্ত্রণা করিয়া বধুরাণী হেমন্তকুমারীর আত্মীয়গণকে নানা প্রকারে উত্যক্ত আরম্ভ করিল। অবশেষে তাহাদিগকে নানা প্রেকারে অপমানিত করিতেও ক্রটি করিল না। অতএব অল্প দিনের মধ্যেই মহারাণীর অলক্ষিতে দুইটী দল বান্ধিয়া উঠিল। মহারাণী এই বিষয় অবগত হইয়া কাহাকেও কিছুই বলিলেন না। তিনি মনে মনে কিছুদিন তীর্থযাত্র উপলক্ষে সৰ্ব্বপ্রকারে সকলের সংস্রব ত্যাগের ইচ্ছা করিলেন । কিন্তু, স্বার্থীন্ধগণ, তাহাতে ঘোর বিরক্ত হইয়। “আপনি যেমন ক্ষমাশীল, ইহাতে আপনার অচিরায় ভিক্ষ দ্বারা জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করিতে হইবে। আপনি এখন পুত্রবধূকে এখানে রাখিয়া তীর্থ গমন করিলে তাহার আত্মীয়গণ আপনার সৰ্ব্বনাশ করিবে।” ইত্যাদি নানা কথায় তাহাকে উদ্দীপিত করিতে লাগিল। তাহারা কখন কখন, ক্ষমাশীল দয়াময়ীকে ੋ ভাষায় ভর্ৎসনা করিতেও ক্রট করে নাই। কিন্তু, তিনি সে সময়ে একটা মাত্রও কথা না বলিয়া নীরবে রোদন করিতেন। তিনি, কাহারও কথায় কোন উত্তর প্রদান না করিলেও আপনার সঙ্কল্প ভঙ্গ করিলেন না। বিধাতার অনুগ্রহে এই সময়ে তাহার তীর্থ যাত্রার মুবিধাজনক একটা ঘটনা উপস্থিত হইল।

  • একটা মোকদ্দমায় রাজা স্বৰ্য্যকান্ত আচার্য রায় বাহাদুর তাহাকে সাক্ষি মান্ত করিয়াছিলেন, কিন্তু তিনি এজীবনে কোনও দিন শপথ করিয়া সাক্ষি প্রদান করেন নাই,