পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o { )* | q প্রত্যাবৃত্ত হন । কুসুমগ্রাহী পাঠক, পত্রের প্রতি লক্ষ্যও করেন না । কুমুমের গন্ধে মুগ্ধ হইয়া, দুই একটা ফুল তুলিয়। হৃদয়ে রাখিলেন, কিন্তু তাহার হৃদয়, সংসারের বিষাক্ত ঝঞ্চায় জালতন, সুতরাং ফুলগুলি অল্প ক্ষণেই বিকৃত এবং বিশুষ্ক হইয়া যায়। অতএব,তাহার পুস্পাহরণেই দিন যায়, ফল দেখিবার অবসর হয় না। প্রকৃতপক্ষে, ফলগ্রাহী পাঠকদের উদেশ্ব চরিতার্থ হয়। তাহার, ধৈৰ্য্যের সহিত, মূল হইতে শীর্ষ পর্য্যন্ত বৃক্ষটা দেখিয়া जन, মালীকে লক্ষ্যও করেন না। বৃক্ষটা কি জাতীয়, কি কি গুণ আছে, আর ফলই বা কিরূপ উপকারী, তাহ পরীক্ষা করিয়া দেখেন। পরে ফলের রসাস্বাদন অস্তুে আপনার হৃদয়ে বীজ রোপণ করিয়া থাকেন। যত্ন প্রায়শঃ নিষ্ফল হয় না। সেই বীজ, কালে মহাবৃক্ষে পরিণত হয়। তাহার ছায়ায় কত সন্তাপী, শান্তি পায়, ফলাস্বাদনে কত ব্যাধিগ্রস্তের রোগ নাশ হয়। অতএব, পাঠকেরা ধৈর্য্যশীল হইলে অযথা সঙ্কলিত বলিয়া, বোধ হয়, এই পবিত্র চরিত্রের মূল পবিত্রতার অপক্ষপাতী হইবেন না। ইহার পরে জীবন-চরিত লেখকের, আর একটা প্রমাদ আছে । যিনি, অল্পদিন মাত্র দেহত্যাগ করিয়াছেন, তাহার জীবন বৃত্তান্তের সংস্থষ্ট অনেকেই প্রায় জীবিত থাকেন। নায়কের চরিত্র বিকাশ করিতে, সম্ভবতঃ কেহ, মনে ব্যথা পাইতেও পারেন। কাহাকেও বা ঘোর কলঙ্ক-গ্ৰস্ত হইতেও হয়। . তাহাতে সত্যের সারল্য থাকিলেও, লেখক যে প্রমাদ গ্রস্ত, তাহা বোধ হয়, কাহাকেও বুঝাইতে হইবে না। তদ্ভিন্ন, পরাধীন দেশের লোকে, চতুর্থ শ্রেণীর মহাত্মার জীবন-চরিত লিখিতে, কিম্বা লোক-জগতে, র্তাহার হৃদয়ের গুহাভাব প্রকাশ করিতে, সম্পূর্ণ অপারগ। আর সেই শ্রেণীর পূর্ণ জীবন, ভারতবাসী কোনও কালে প্রত্যক্ষ করিবেন কিনা, তাহা বিধাতাই জানেন।