পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミぐ。 মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। সকলের ভোজন অন্তে, দিবাবসানে আহার করিয়া স্বাস্থ্যভঙ্গ ও বৃথা সময় নষ্ট করেন না। কিন্তু, তাহা বলিয়াও ত তাহাদের অবসর নাই । বিদ্যা শিক্ষা, শিল্পকার্য্যে, গল্পে, দেহের পারিপাট্যে, চারি প্রহর দিনেও তাহদের কুলায় না। সংসারের প্রস্তাবিত কাৰ্য্য করিয়া, যদি কিছু অবসর থাকে, তবে, মনোরম উপন্যাস পাঠ ও কথঞ্চিৎ নিত্রাতেই তাহা কাটিয়া যায় । সুতরাং, বালক বালিকাকে শিখাইবার অবকাশ হইয় উঠে না। যদিচ, এইরূপ কাৰ্য্য পরম্পরায়, বঙ্গনারী মাত্রেই দিনযাপন করেন না। কিন্তু, নূতন সভ্যতার যেরূপ প্রশার বৃদ্ধি হইতেছে, তাহাতে, অল্পদিন মধ্যে যে, বঙ্গের গৃহে গৃহে তাহ দেখিতে হইবে না, ইহা কেহই বলিতে পারেন না । শিশুদিগের প্রকৃতি এবং শক্তি পরীক্ষা করিয়া, অভিভাবকের। যদি ধীর ভাবে চেষ্টা করেন, তবে ঘরে ঘরে সুপুত্র ও সুশীল। কস্তার গঠন হইতে পারে। শিশুদিগের অনুকরণ শক্তি, বিষয় বিজ্ঞান চেষ্টা এবং তরল মেধার অসীম শক্তি। যে ভাষা, উন্নত বয়স্ক, শিক্ষিত লোক, পাচ বৎসরের অধ্যবসায়ে, পুন:পুন: আবৃত্তিতেও শিখিতে পারে না; শিশুরা, পাচ বৎসর বয়সের মধ্যে, শৃঙ্খলাবদ্ধ আবৃত্তি ব্যতিরেকে, খেলা করিতে করিতে, অসংখ্য বস্তু পরিচয়ের সহিত সেই ভাষা শিখিয়া ফেলে । তাহার কারণ এই যে, যে কার্য্যে প্রবল আসক্তি জন্মে, চিত্ত বৃত্তি সকল, সহজেই তাহার অভিমুখী হইয়া থাকে। তজ্জন্ত, হৃদয়ে বল প্রয়োগের আবশ্বক হয় না। শিশুরা নুতন জগতে আসিয়া, সকলই নূতন দেখিতে পায় ; তাহার রহস্ত জানিবার উদ্যমে, অন্তের ইচ্ছার বশবৰ্ত্তীতায় হৃদয়কে এক বিষয় হইতে বিষয়াস্তরে লইতে হয় না। আর, বয়স্থ লোককে, নূতন বিষয় শিক্ষার সময়, হৃদয়ের ঘনীভূত বৃত্তিকে অন্ত বিষয়ে লইতে—অন্ত আকারে পরিণত করিতে অন্ত বিষয় মুগ্ধ-বাসনাকে