পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। చి তোমার যখন যাহা আবশ্রাক হয়, নিৰ্ভয়ে আমাকে বলিও”। ৰালিকা লজ্জায় অধোমুখী হইয়া রহিলেন । ভৈরবনাথ, কৰ্ম্মচারীর প্রাপ্য টাকা পরিশোধ করিলেন । আর একদিন ভৈরবনাথ, কোনও গুরুতর অপরাধে জনৈক প্রাচীন কৰ্ম্মচারীকে * কৰ্ম্মচু্যত করেন। সেই কৰ্ম্মচারী, গুরৎসুন্দরীকে কিছুই বলিয়া ছিল না। কিন্তু বালিকা, অন্তের নিকট এই বৃত্তাস্ত গুনিয়া, আহার নিদ্র ত্যাগ করিলেন । র্তাহার বিশ্বাস এই, যে, এই প্রাচীন ব্রাহ্মণ জীবিকা অর্জনে অক্ষম ; সুতরাং অন্নাভাবে মরিবে । কিন্তু, কি উপায়ে তাহার উপকার করিবেন, তাহ ভাবিয়া আকুল হইলেন। যদিচ, ভৈরবনাথ, ইতিপূৰ্ব্বে বালিকাকে যখন যাহা আবগুক হয়, তাহা বলিবার অনুমতি করিয়াছিলেন ; কিন্তু, শরৎসুন্দরী, তাদৃশ আদেশ থাকিলেও, পিতার নিকটে কোনও দিন কিছু বলিতে সাহসী হইয়াছিলেন না । অদ্য ভাবিয়া দেখিলেন, পিতা ব্যতীত র্তাহার মনের যাতনা নিবারণের অন্ত উপায় নাই। র্তাহার ধৃষ্টতায় পিতা রুষ্ট হইতে পারেন, একবার এই শঙ্কা মনে উদয় হইল। পিতার নিকট যাইতে লজ্জা বোধ করিতে লাগিলেন । কিন্তু, অন্ত-পথ নাই ; কাজেই লজ্জায়, ভয়ে, অতি সঙ্কুচিতভাবে পিতার নিকট উপস্থিত হইয়া বুদ্ধ কৰ্ম্মচারীর অপরাধ মার্জনার জন্ত, কাতরভাবে প্রার্থনা করিতে লাগিলেন। সে সময়ে কৰ্ম্মচারীর দুঃখ ভাবিয়া, তিনি এরূপ অভিভূত হইয়াছিলেন, যে, পিতাকে সে কথা বলিতে বলিতে, কণ্ঠরুদ্ধ হইয়া দুই চক্ষে অজস্র অশ্রুপতি হইতে লাগিল। সমুদায় কথা শেষ করিতে পারিলেন না । ভৈরবনাথ, বালিকার মুখে যে অত্যন্ন মাত্ৰ শুনিয়াছিলেন, বালিকার করুণাময়ী মূৰ্ত্তি দেখিয়া অবশিষ্ট সমস্তই বুঝিয়া লইলেন ;

  • এই কৰ্ম্মচারীর নাম গোবিন্দচন্দ্র তালুকদার । জাতিতে ব্রাহ্মণ ।