পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9ు মহারাণী শরৎসুন্দৰীর জীবন-চরিত। এবং তদণ্ডেই কৰ্ম্মচারীর অপরাধ মার্জন করিয়া পুনরায় তাহাকে নিযুক্ত করিলেন। বালিকার এই পাচ বৎসর বয়সে কৰ্ম্মের প্রণালী, শৃঙ্খলা এবং যাহাতে যাহা আবশ্বক, তাহার সুব্যবস্থায় 'আশ্চর্য্য অভিজ্ঞতা জন্মিয়াছিল। তিনি, অল্প বয়সে জননী প্রভৃতি পুরমহিলাগণের নানা কাৰ্য্যে সাহায্য করিতেন । দেবাচৰ্চন ব্রত নিয়মাদির দ্রব্যাদির, কি গৃহের সামগ্ৰী সকল, উৎকৃষ্ট প্রণালীবদ্ধে পরিপাটীরূপে সাজাইতে পারিতেন। ঐ সকল কার্য্যে বুদ্ধির প্রখরতা, নিপুণতা, এবং উচ্চাশুয়তার পরিচয় দিতেন। তিনি, অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাৰ্য্যেও, নুতন প্রণালী, নূতন নূতন ব্যবস্থার উদ্ভাবন করিয়া, এরূপ তৎপরতা দেখাইতেন, যে, অন্যে তাহ দেখিয়া আশ্চৰ্য্য বোধ করিত । একদিন ভৈরবনাথের পিতৃশ্ৰাদ্ধ উপলক্ষে, নানা সামগ্রীর আয়োজন হইতেছে। শ্রাদ্ধের জলদান, বস্ত্রদান, অন্নদান এবং তাম্বুলদানের সজ্জা, শরৎসুন্দরী স্বহস্তে করিতেছেন। তিনি সজ্জা করিতে করিতে দেখিলেন, যে, জলদানের জল, পীতলের ঝারিতে—তাম্বুলদানের কাসার পানবাটায়, পান, শুপারি, মসলা, যেমন সজ্জা প্রয়োজন তাহাই হইল ; কিন্তু, অন্নদানের তণ্ডুল, ঘৃত আদি, একখানি পীতলের থালায় কেন সজ্জা করিতে হইল, ইহার তাৎপৰ্য্য বুঝিতে পারিলেন না । এই সময় ভৈরবনাথ, শ্রাদ্ধ করিবার জন্ত উপস্থিত হইলেন। বালিক, অন্নদানের উদ্দেশু বুঝিবার জন্ত, পিতাকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে,—“বাবা পীতলের থালায় চাল স্কৃত সাজাইয়। দিবার কারণ কি ?” ভৈরবনাথ হাসিয়া বলিলেন “মা, যেমন জলপানের জন্য ঝারি, আর পাণ খাইবার জন্ত বাটা দেখিতেছ, তেমনই ভাত খাইবার জন্য থালাও আছে। মনুষ্যে যে কার্য্যের জন্য, যে যে দ্রব্য ব্যবহার করে, দান করিতেও, সেই সেই প্রয়োজন বুঝিয়া