পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। * לף শাক্ষাৎ দেবতার স্কায় ভক্তি করিতেন। দাম্পত্য মুখের অতৃপ্তি এবং অকাল বৈধব্যে র্তাহার হৃদয়ে পতিভক্তি, ব্রহ্মচৰ্য্য এবং অকাম ধৰ্ম্ম, দৃঢ়রূপে আশ্রয় করিয়াছিল। তিনি সধবা কিম্বা বিধবা হইয়াও কোনও দিনই পতিদেবতার কোনও দোষ দেখিতে পান নাই । অথচ পদে পদে আপনার নগণ্য দোষও দেখিতে পাইউেন । কলিকাতায় অবস্থিতি কালে যোগেন্দ্রনারায়ণের অত্যাহিত দেখিয়া একজন হিতৈষিণী পরিচারিকা, শরৎসুন্দরীকে বলিয়াছিল, যে, তাহার মস্তকের উপর যখন শাশুড়ী প্রভৃতি কেহ গৃহিণী নাই, তখন আপনার ভাল মন্দ, আপনাকেই দেখিতে হয়। অতএব স্বামীকে এখন সন্ধুপদেশ দিয়া আপনার বশে আন কর্তব্য । আর সেরূপ করিলে তাহার লোক নিন্দার ভয় কিছুই নাই। শরৎসুন্দরী, তাহার উত্তরে বলিয়াছিলেন যে—“তিনি আমার সৰ্ব্বময় কর্তা,—পরমগুরু, আমার সম্বন্ধে যাহা কৰ্ত্তব্য তিনি আপনিই করিবেন। তাহাকে বুঝাইয়া বলি, কিম্বা তাহার কার্য্যের দোষ দেখাই, আমার এরূপ শক্তি নাই । তিনি যদি আমার প্রতি অপ্রসন্ন থাকেন, তবে তাহাতে র্তাহার কিছুই দোষ নাই ; বরং আমি বুঝিব, যে, আমি তাছার অনুগ্রহ লাভের যোগ্যপাত্রী নহি ।” - শরৎসুন্দরীর প্রস্তাবিত কথা, যদিচ বর্তমান কাল-ধৰ্ম্মানুসারে অনেকেরই অপ্রীতিকর হইতে পারে, কিন্তু সে সময়ের দেশাচার এবং কুলাচার যে প্রণালীর ছিল, তাহাতে শরৎসুন্দরীর ঐ কথা, প্রকৃত পত্নী-ধৰ্ম্মের অনুরূপ হইয়াছিল। তবে শরৎসুন্দরী পরিণত বয়সে যোগেশ্রনারায়ণ জীবিত থাকিলে কিরূপ করিতেন, তাহ নির্ণয় করা কঠিম ? তবে এই মাত্র বলা যাইতে পারে যে, যোগেঞ্জনারায়ণ মৃত্য শয্যাশায়ী হইয়া শরৎসুনারীকে চিনিয়াছিলেন । কিন্তু