পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। *నీ কি, তদ্বারা আত্মহত্য ইত্যাদি নানাপ্রকার ভীষণকাণ্ডের অভিনয় হইতে কিছুমাত্র অপেক্ষ থাকে না । অতএব, তজ্জন্ত বালিকা শরৎ সুন্দরীকে দোষ প্রদান করা যাইতে পারে না । যোগেন্দ্রনারায়ণ, যেরূপ দাতা, সত্যপ্রতিজ্ঞ, পরোপকারী, বুদ্ধিমান এবং স্বাধীনচেত। ছিলেন, তাহাতে শরৎসুন্দরী যে, মহোচ্চহৃদয় স্বামী লাভ করিয়াছিলেন, তাহ অবশু বলা যাইতে পারে। সংসারের নানা আবর্তে পড়িয়া যোগেন্দ্রনারায়ণ যেরূপ বিপদে পতিত হইয়া ছিলেন, তাহাতে বালিক। শরৎসুন্দরী, তাহাকে আপনার হৃদয়-কপাট খুলিয়া দেখাইবার সময় পাইয়াছিলেন না । দুঃখের বিষয় এই যে, যোগেন্দ্রনারায়ণ বিপদে বিপদে জর্জরীভূত হইয়া আপনার দোষ বুঝিতে পারিয়াও আর শোধিত চিত্র দেখাইবার অবকাশ পাইলেন না । যোগেন্দ্রনারায়ণের মৃত্যুর পর, শরৎসুন্দরী, যে মস্তক মুণ্ডন করিয়া, তৈল সংস্কারাদি ত্যাগ করিলেন, মৃত্যু পৰ্য্যন্ত তাহাই পালন করিয়াছিলেন । পণ্ডিতদিগের নিকট বিধবার কৰ্ত্তব্যগুলি একে একে বুঝিয়া লইয়া সেই কিঞ্চিদধিক ত্রয়োদশবর্ষ বয়সে ভূমিশয্যায় শয়ন, তৈলংস্কারাদি বর্জন, ব্রত উপবাসাদি ঘোরতর ব্রহ্মচর্য্য আরম্ভ করিলেন । তৎকালে র্তাহার পিত। ভৈরবনাথ সান্তাল, র্তাহার প্রধানতম অভিভাবক । ভৈরবনাথ, তরুণ বয়স্ক কন্যার সেইরূপ কঠোর ব্রত পালনে বড়ই দুঃখিত হইলেন । ভৈরবনাথ, কন্যার স্নেহে বাধ্য হইয়া অন্যান্য নিষ্ঠাচারিণী বিধবার দৃষ্টান্ত দেখাইয়। শরৎসুন্দরীর কঠোর ব্ৰতের কিছু লাঘব করিবার বিস্তর চেষ্টা করিয়াছিলেন, কিন্তু, কিছুতেই কৃতকাৰ্য্য হইতে পারিলেন না। এই সময়ে শরৎকুন্দরী অপ্রাপ্ত বয়স্ক বলিয়া, যোগেন্দ্রনারায়ণের সম্পত্তি পুনরায় কোর্টঅব ওয়ার্ডেশ ভার গ্রহণ করিলেন, শরৎসুন্দরীর তাহাতে কিছুই আপত্তি