পাতা:রানী শরৎ সুন্দরীর জীবন-চরিত - গিরীশচন্দ্র লাহিড়ী.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাণী শরৎসুন্দরীর জীবন-চরিত। እ» ማ করেন । প্রভাতে মহারাণী, নানা দেবদেবী এবং তীর্থাদির নাম পাঠ করিতেছেন, এমন সময়ে সকলেই জাগরিত হইয়া উঠিয়াই পথে মলের ছড়া দেখিতে পাইল । তাহার মধ্যে কেহ কেহ আচার নিষ্ঠার ভাণ করিয়৷ সেই ব্যাধিগ্রস্তা প্রাচীনাকে নানারূপ ভর্ত সুনা আরম্ভ করিল। মহারাণী, তাহাদের ভূমিকা শুনিয়াই আপনার ইষ্টচিন্ত৷ ত্যাগ পূর্বক শয্যা হইতে উঠিলেন। উঠিয়া সকলের নিকট করজোড়ে এই বিষয় আলোচনা করিতে নিষেধ করিলেন। কিন্তু পরার ধ্বংশশীল। উগ্ৰচণ্ডাদিগের তাহাতেও ক্রোধের নিবৃত্তি হইল না ; তাহার। এখন মলাকীর্ণ পথে কিরূপে অশুচি হইয়া বাহির হইবে, এই এক উপলক্ষ করিয়া আপনার আপনার মনোবেগ প্রকাশ করিতে লাগিল । উদরাময়গ্ৰস্ত প্রাচীন, লজ্জায় মৃতপ্রায় হইয়া শয্যায় শয়ন করিয়া পুন: পুনঃ ভগবানের নিকট মৃত্যুকামনা করিতে লাগিল। তখন, মহারাণী গোপনে পরিচারিকাদিগকে নানারূপ মিষ্ট কথায় বুঝাইয়া বলিলেন যে, মাতৃসম-বয়স্ক ব্রাহ্মণ-কস্তার এই পীড়ার কালে মল পরিস্কার করিলে কোন দোষ নাই। কিন্তু প্রধান দাসী, নাসিকা কুঞ্চিত করিয়া তীব্রভাষায় তাহার এই অযথা অনুরোধের নিন্দা করিতে লাগিল। ফলতঃ সেই দাসী, অল্পদিন পূৰ্ব্বে আপনার ভ্রাতার বিবাহের ব্যয় বলিয়া মহারাণীর নিকট দুই হাজার টাকা পাইয়াছে, তথাপি সে কৃতজ্ঞতা ভুলিয়া গেল । সেই সঙ্গে সঙ্গে অন্তান্ত অনেকেই, উপলক্ষ পাইয়া আত্মপ্রকৃতির পরিচয় দিতে ক্রটি করিলেন না । স্বৰ্গীয় দেবী নিৰ্ব্বিকার হৃদয়া মহারাণী শরৎসুন্দরী, তজ্জন্ত দাসীদিগকে আর -ট্র রুক্তি না করিয়া স্বহস্তে ঝাটা লইয়া পথের সমস্ত মল পরিষ্কার করিয়া দিয়া, এই সমস্ত বিষয় যেন অন্তে শুনিতে না পায় তজ্জন্ত বিনয়ের সহিত সকলকে বলিলেন। পরান্ন পোষিণী নিদুক স্বভাব।