শব্বকথা : কারক-প্রকরণ ԵրՊ হইয়া যায়, যথা—অ ! ম -ক র তে ম -ক র অ পি ন -ক র, সব - ক + র, ত থ -ক র, সে খ গ ন-ক র, অ ! জি-কার কালি-কার। বাঙ্গালায় সম্বন্ধ স্বচনায় এই ক'য়ের প্রচলন অধিক না থাকিলেও হিন্দী ভাষায় ইহার প্রচলন খুব অধিক ; যথা—স া হি ত্য-ক র ভাণ্ডার, েখ দ-কী বাত, জি স্-কে ভ - ষ , প্রচার ক রণে-কার ইত্যাদি। অধিকরণ-কারকে প্রধান বিভক্তি এ, বা তে' ; কিন্তু স্থলবিশেষে অধিকরণেও কে’ বসে, যথা— অ : জি- েক, ক t লি-কে। এই সকল দৃষ্টাস্তে ক’ আসিল কোথা হইতে ? সংস্কৃতে সাত দফা বিভক্তি আছে, তন্মধ্যে কোথাও ক' নাই। কাজেই গোলে পড়িতে হয়। কেহ বলেন, সংস্কৃতে না থাক, প্রাক্লতে ‘কে র’ বিভক্তি পাওয়া যায়, সম্ভবতঃ এই কের সংস্কৃত কৃ ত বা কৃ তে হইতে উৎপন্ন। এই প্রাকৃত কে র ক্রমশঃ ভাঙ্গিয়া-চুরিয়া বাঙ্গালী ভাষায় কে, ক’, ক 1 র’ প্রভৃতি উৎপন্ন হইয়াছে। অন্য পণ্ডিতে বলেন, সংস্কৃতের স্বার্থে ক' হইতে বাঙ্গালায় এই কে, ক র প্রভৃতি উৎপন্ন। অতএব এই স্বার্থে ক’ যে-কোন শব্দের উপর বসিতে পারে, তাহাতে অর্থান্তর-প্রাপ্তি ঘটে না। দলিল দস্তাবেজের ভাষায় এই স্বার্থে কয়ের একটা কৌতুককর দৃষ্টান্ত প্রচলিত আছে। চলিত প্রথামতে কোন একটা দলিল লিখিতে হইলে ক স্য দিয়া আরম্ভ করিতে হয় এবং অ t েগ দিয়া শেষ করিতে হয়। যথা— ক স্য তমস্থকপত্রমিদং কাৰ্য্যঞ্চ অ ! গে। এই 'ক স্য' এবং অ ! গে’ কোথা হইতে আসিল ? এ সম্বন্ধে বিশেষ আলোচনা হইয়াছে কি না, জানি না। আমার বোধ হয়, এই অ ! েগ সংস্কৃত অ জ্ঞ পয়তি হইতে প্রাকৃতের ভিতর দিয়া আসিয়াছে। অতি পুরাতন তাম্রশাসনাদিতে দেখিতে পাওয়া যায় যে, দানকৰ্ত্তা রাজা তাহার দানপত্রের আরম্ভেই তাহার অমাত্য কৰ্ম্মাধ্যক্ষ প্রজাবৰ্গ প্রভৃতিকে “অ জ্ঞা প য় তি স ম া দি শ তি চ” বলিয়া হুকুম জারি করিতেছেন। সেই প্রথার অনুসরণে অদ্যাপি বাঙ্গালার জমিদারের জমিদারি-মধ্যে কোন আদেশ জারি করিতে হইলে আদেশপত্ৰ-মধ্যে আরম্ভ করেন—“মণ্ডল-গোমস্তা-হালসানা-প্রজাবগাণাং প্রতি অাগে।” এই অ ! গে সেকালের অ জ্ঞা পয়তি পদেরই অপভ্রংশ। ইহা যে আদেশজ্ঞাপন-বাক্য, তাহা ভুলিয়া গিয়া এখন পাট্টা কবুলতি তমস্থক প্রভৃতি যে-কোন জ্বলিলে দাতা ও গ্রহীতা উভয় পক্ষই লিখিয়া বসেন “কাৰ্য্যঞ্চ অ f েগ”—অর্থাৎ কৰ্ত্তব্য বিষয়ে আজ্ঞা (আদেশ) দিতেছি। অ ! গে সম্বন্ধে এই কথা । তার পরে ক স্য। ক স্য তম স্থ ক প ত্র মি দ ং-কাহার তমস্থক পত্র এখান ?— এইরূপ অর্থ ঘটাইলে বিপরীত কাণ্ড হইবে। কিন্তু এই বাক্যের অন্তর্গত ক' কিম্ শব্দের ক? না হইয়া যদি স্বার্থে ক' হয়, তাহা হইলে একটা মীমাংসা পাওয়া যায়। যথা দ া স স্য= দ স ক স্য, ঘো য স্য = েঘ f ষ ক স্য, চ ট্রো পা ধ্য - য় স্য =চ েট্র । প t ধ য় ক স্য। দলিলের আরম্ভ -“লিখিতং শ্রীরামচন্দ্র দ স ক স্য তম স্ব ক পত্র মি দ ম” “লিখিতং শ্ৰীঘনরাম দত্ত ক স্য পট্ৰকপত্রমিদম,” “লিখিতং শ্ৰীহরিচরণ-চট্টোপাধ্যায়কস্য কবুলতিপত্ৰমিদম "— “লিথিতং শ্ৰীদুৰ্গাচরণ ভূতিকস্য একরারপত্ৰমিদম "—ইত্যাদি বিবরণের ফারম (form) ছকিতে গেলে এইরূপে ছকিতে হইবে ;–“লিখিতং শ্ৰী কস্য