একপঞ্চাশাৎ পরিচ্ছেদ frans লিওম্যাং যুদ্ধ রুষের জলযুদ্ধের আশা আব নাই। তাহদের যে সকল জাহাজ লোহিত সমুদ্রে অন্যান্য জাহাজ আটক করিতেছিল, তাহাও তাহদের বন্ধ করিতে হইল। ইংলণ্ড অতিশয় আপত্তি করায় রুষ-সম্রাট তঁহার জাহাজ গুলিকে দেশে প্ৰত্যাগমনের আজ্ঞা দিলেন । এখন জাপান একরূপ সমুদ্রে সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত হইয়া, স্থলযুদ্ধে মনোযোগী হইলেন। আমরা পুৰ্বেই বলিয়াছি, সেনাপতি কুরোকি জুহ্বলিংজু ও যাংজুলিং অধিকার করিয়াছেন ;-সেনাপতি নজু তামুচানে আসিয়াছেন। সেনাপতি ওকু হাইচেং দখল কবিয়াছেন। ইহারা তিন জনেই এই সকল স্থানে অপেক্ষা করিতেছেন। জাপান হইতে বহু নুতন সেনা আসিয়া তিন দলে যোগদান কবিতেছে। আহত ও বন্দী দিগকে জাপানে প্ৰেবিত হইতেছে। পশ্চাতে সকল স্থানই তাহারা সুদৃঢ় কুরিতেছেন। তঁহারা তিনজনে লিওযাংয়ের মহাযুদ্ধের জন্য সর্বতোভাবে প্ৰস্তুত হইতেছেন। লিওযাংয়ের চারি পাশ্বে কি ব্যাপার হইবে,-তাহা তাহারা বিশেষ অবগত ছিলেন। সুতরাং এ যুদ্ধের জন্য বিশেষ প্ৰস্তুত না হইয়া, তাহারা অগ্ৰবন্ত্ৰী হইতে পারেন না । তাহার উপর এই তিন সপ্তাহ দিবারাত্রি অজস্র বৃষ্টি হইতেছে ;-চারিদিকে কৰ্দম পুর্ণ;-অধিকাংশ স্থান জলমগ্ন হইয়া গিয়াছে ! লিওযাংয়ের চারিদিকে চীনেদিগের ভুট্টাক্ষেত্ৰ। সেই সকল ক্ষেত্রে ভুট্টা গাছ মাথা ছাড়াইয়া রহিয়াছে ;-তাহার উপর পাহাড় পৰ্ব্বত খাদ্য-উচ্চ নিম্ন স্থানী-রুষের দুৰ্ভেদ্য দুর্গের কথাইতো নাই ! কুয়োপাটুকিনের অধীনে অন্ততঃ দুই লক্ষ সেনা ও পাঁচ শত