পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

డి ఫి পুত্ৰ কয়টকে লাভ করেন। ৫৭-৬৯ ! ধীমান্‌ ঐকৃষ্ণের অন্ত পত্নী জাম্ববতী বীরত্বর সপত্নীতনয় রুক্মিণীতমন্ত্রগণকে সকল বিষয়ে পণ্ডিত দর্শন করিয়া খ্ৰীকৃষ্ণকে বললেন;–হে পুণ্ডরীকক্ষ। আমার প্রতি প্রসন্ন হইয়া আপনাকে ইন্দ্রসদৃশ গুণবান এবং বিখ্যাওঁ পুত্র প্রদান করিতে হইবে। আনন্দিত তপোনিধি শ্ৰীকৃষ্ণ, জগন্নাথ হইলেও জাম্ববতীর সেই বাক্য শ্রবণ করিয়া তপস্তা আরম্ভ করিলেন। অনস্তর শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্মধারী নারায়ণস্বরূপ শ্ৰীকৃষ্ণ ব্যাঘ্রপাদমুনির উংকৃষ্ট তপোবনে গমন করত অঙ্গির মুনিকে প্রণামপুৰ্ব্বক তাহার নিকট হইতে দিব্য পাশুপত যোগ লাভ করিলেন । ভগবান্‌ শ্ৰীকৃষ্ণ শ্মশ্র এবং কেশ দি মুগুন করত রতসিক্তাঙ্গে মেীমেখলা ধারণপূর্বক দীক্ষিত হইয়া দুষ্কর তপস্যা আরস্ত করিলেন । নিরাবলম্বভাবে পদাঙ্গুষ্ঠমাত্রে পৃথিবী অবলম্বনপূর্বক উৰ্দ্ধবাহু হইয়া, কেবল ফল, জল ও বায়ুমাত্র দ্বারা তিনটী যজ্ঞ করিলেন। তদনন্তর মহাদেব, মহাত্মা শ্ৰীকৃষ্ণের তপস্তায় তুষ্ট হইয়া, জাম্ববতীর সাম্বনামক পুত্র এবং অন্তান্ত বর প্রদান করিলেন। জাম্ববতী সেই গুণবান পুত্র পাইয়া, দেবমাতা অদিতি আদিত্যকে পাইয়া যে প্রকার প্রীতি লাভ করিয়াছিলেন, তদ্রুপ আনন্দযুক্ত হইলেন। হে মুনিশাৰ্দ্দলগণ! শ্ৰীকৃষ্ণ মহাদেব কর্তৃক অভিশপ্ত বাণরাজার সহস্র হস্ত ছেদন করিলেন। ৮অনন্তর প্রতাপশালী কৃষ্ণ বলদেবের সাহায্যে দৈতকুল নিৰ্ম্মল করিলেন এবং তুষ্ট ক্ষিতিপতিগণের দণ্ড বিধান করিলেন। শ্ৰীকৃষ্ণ দেবাংশসস্তৃত দৈত্যরাজ নরককে হনন করিলেন। শ্ৰীকৃষ্ণ অবলীলাক্রমে মাত্মা বায়ু এবং নারদের অনুগ্রঙ্গে অতুলবিক্রয় একশত ষোড়শসহস্র নিজের উপভোগ্য কন্যাসমূহ গ্রহণ করিলেন। অচ্যুত, বিপ্রশাপচ্ছলে যদুকুল ধ্বংস করিয়া, প্রভাসতীর্থে অবস্থান করিতে লাগিলেন । ৭০-৮৩ ! ধরাক্লেশহারী শ্ৰীকৃষ্ণ সেই ভাবে একশত বৎসর দ্বারকায় অতিবাহিত করত বিশ্বামিত্র কৃষ্ণু বুদ্ধিমান নারদ পিণ্ডারকি এবং দুৰ্ব্বাসার বাক্য সত্য করিবার নিমিত্ত * রের অস্ত্রচ্ছলে মনুষ্যদেহ ত্যাগপূর্বক তাহাকে স্কার করিয়া, স্বর্গে গমন করিলেন। অষ্টাবক্রের শাপে গ্রীকৃষ্ণের অভিপ্রায়ানুসারে চৌরগণ র্তাহার স্ত্ৰীসমূহ হরণ করিল। বলম্বেৰও নিজ দেহ ত্যাগপূর্বক আলণ্ডয়প ধারণ করিলেম। শ্ৰীকৃষ্ণের রুক্মিণী প্রভৃতি স্বস্থিৰীকৃঙ্গ তাহার সহিতই দেহ ত্যাগকারলেন। হে নিগণ! তীেও অধিগ্রবেশপূৰ্ব্বক বিজ্ঞবর বলদেবের অনুগমন করিলেন। হে সুব্রতবৃন্দ ! মহাবল পার্থ, শ্ৰীক্লক বলদেব এবং অন্তান্ত যাদবগণের দেহু সংকার করত সে সময় কোন দ্রব্য উপস্থিত না থাকায় কদমূল ও ফলাদি দ্বারা তাহদের শ্রদ্ধাদি সম্পাদন করিয়া, যুধিষ্ঠিরাদি ভ্রাতৃগণের সহিত স্বর্গরোহণ করিলেন। অক্লিষ্টকৰ্ম্ম শ্ৰীকৃষ্ণ এই প্রকার স্বেচ্ছাক্রমে প্রার্হভূত হইয়া বিলীন হইলেন, এ বিষয় সংক্ষেপে বর্ণন করিলাম। দ্বিজগণ ! সোমবংশীয় রাজগণের নিৰ্ম্মল চরিত্র বর্ণন করিলাম । ইহা যে ব্যক্তি স্বয়ং পাঠ করে, কিংবা শ্রবণ করে, অথবা ব্রাহ্মণ স্বারা পাঠ করায়, সে নিশ্চয়ই বিষ্ণুলোকে গমন করে | 8 هس وما اRة جa Tsfتهتم جعجج উনসপ্ততিতম অধ্যায় সমাপ্ত । সপ্ততি ম অধ্যায় । ঋষিগণ বলিলেন, হে স্থত । আপনি আদিসর্গবিষয়ের স্বচনা করিয়াছেন ; কিন্তু প্রকাশ করেন নাই ; এক্ষণে হে সুব্রত ! তদ্বিষয় সুবিস্তার বর্ণন করুন। স্থত বলিলেন, হে মুনিদত্তমগণ! পরমাত্মস্বরূপ মহেশ্বর মহাদেব প্রকৃতি ও পুরুষের পরে অবস্থিত। সেই ঈশ্বর হইতে পরম কারণ অব্যক্ত উৎপন্ন হুইয়াছে। তত্ত্বদশীরা তাহাকেই প্রধান বা প্রকৃতি বলিয়া থাকেন। প্রথমতঃ গন্ধ বর্ণ রস শব্দ স্পর্শবিহীন, অজর, নিত্য, অক্ষয়, আধারভূত আত্মাতেই অবস্থিত, জগতের আদি, মহাভূত, পরাংপর, সনাতন, সৰ্ব্বভূতশরীর, ঈশ্বরাজ্ঞা-প্রেরিত, আদ্যন্ত বা জন্মরহিত, সৃক্ষ, সত্ত্বরজ-স্তমোগুণময়, উৎপত্তি ও বিনাশহেতু, অপ্রকাশিত, অবিজ্ঞেয়, ব্রহ্মরূপ প্রকৃতি বৰ্ত্তমান ছিলেন। মহাদেবের ইচ্ছানুসারে ব্রহ্মের আত্মম্বারা সমস্ত পরিব্যাপ্ত ছিল। সমগুণাত্মক অবিভক্ত তমোময় সেই অবস্থাতে ক্ষেত্ৰজ্ঞ পুরুষাধিষ্ঠিত প্রকৃতির স্বজনকালে, গুণব্যক্তিহেতু প্রকাশমান মহানৃ (মহত্তৰ) প্রাতৃত হয়। অদৃপ্ত এবং সৰ্ব্বব্যাপী প্রকৃতি-সমাবৃত, সত্ত্বগুণপ্রধান মহত্তত্ত্ব প্রথমতঃ কেবল সত্তামাত্র প্রকাশক ছিল । সমুখপন্ন, হুঙ্ক, ক্ষেত্ৰজ্ঞ পুরুষাধিষ্ঠিত, অদ্বিতীয় কারণ মহানই মন নামে অভিহিত। মহা স্বজনেচ্ছ দ্বারা প্রেরিত হইয়া লোকতত্ত্বাৰ্থ কারণ ধৰ্ম্মাদির স্বষ্টি করেন। ১—১১ ! মডি ব্রহ্ম বুদ্ধি পুর ; খ্যাতি ঈশ্বর ; প্রজ্ঞ জ্ঞান ; প্তাহাকেই মন, মহানৃ, মতি, ব্ৰহ্ম, পুঃ, বুদ্ধি, খাতি, ঈশ্বর, প্রজ্ঞ, চিডি, স্মৃতি জ্ঞান, ৰিখপতি ইত্যাদি